আপনজন ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগ রাজের তেজ বাহাদুর সাপ্রু হাসপাতালে (বেইলি হাসপাতাল) ডেঙ্গু ওয়ার্ডের মধ্যে নামাজ পড়ায় এক মহিলার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করািএকটি টিভি চ্যানেল প্রচার করে। ততক্ষণে ওই মহিলার নামাজ পড়ার দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে দেওয়া তা নজরে আসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এই ঘটনায় তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশে এখন ব্যাপক হারে ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এমনই একজন রোগী ভর্তি ছিলেন বেইলি হাসপাতলের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে। তার পরিচারক হিসেবে এসেছিলেন জেঠওয়ারা প্রতাপগড়ের বাসিন্দা বছর চল্লিশের এক মহিলা। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের করিডরের পাশে যেখানে পরিচারকরা থাকেন তার থেকে একটু দূরে ফাঁকা স্থানে ওই মহিলা নামাজ পড়ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন তিনি প্রায় ১২ মিনিট প্রার্থনা করেন। সেখানে উপস্থিত কয়েকজন পরিচারকের মধ্যে কেউ একজন মোবাইল ফোন থেকে তার একটি ভিডিও তৈরি করে। সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট রকার পর তা ভাইরাল হয়ে গেলে সেই খবর পৌঁছয় মেডিক্যাল সুপারের কাছেও।
ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মেঝেতে চাদর বিছিয়ে নামাজ পড়তে শুরু করেন ওই মহিলা। আশেপাশে আরও কিছু রোগীর পরিচারকদেরও দেখা যায়। নমাজ পড়ার পর মহিলা সেখান থেকে উঠে কিছু দূরে বসে পড়েন। বেইলি হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. মনোজ কুমার আখৌরি বলেন, খবর পেয়ে তিনি সেখানে যান। যে মহিলা নামাজ পড়েছেন তার সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়াও, ওয়ার্ড ইন-চার্জ শবনম রাইয়ের সঙ্গে কথা বলার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, সিসিটিভির চিত্র খতিয়ে দেখে তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে যখন বিতর্ক সৃষ্টি হয়, তখন প্রয়াগরাজ পুলিশ তাদের ট্যু্িটিার অ্যাকাউন্টে বিবৃতি দিয়ে জানায়, ‘ ভাইরাল ভিডিওটির একটি পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে ভিডিওটিতে ওই মহিলার মধ্যে কোনও খারাপ উদ্দেশ্য মেলেনি, কারও কাজে বিঘ্ন বা কাউকে প্রভাবিত করেননি। হাসপাতালে ভর্তি তার রোগীর দ্রুত আরোগ্যর জন্য তিনি প্রার্থনা করছিলেন। এটা কোনও অপরাধের আওতায় পড়ে না।’ এই পোস্টের পর অনেককেই মন্তব্য করতে দেখা যায়। কার্তিক কুমার নামে এক ব্যক্তি প্রয়াগরাজ পুলিশের ট্যুইটার পোস্টে পুলিশের প্রশংসা করে লেখেন. আমি হিন্দু। কিন্তু আমার ভাল লাগছে যে আপনার তরফে এটাকে অপরাধ হিসেবে দেখা হয়নি আর অপরাধ হয়নি এটা সত্যি। কারণ, হাসপাতালের আমাদের বাড়ির কেউ ভর্তি হলে আমরাও ঈশ্বরকে ডাকি। ওই মহিলাও মানুষ। তাই উনিও তাদের আল্লাহকে স্মরণ করতেই পারেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct