সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: রাজ্যে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ও সিবিআইয়ের অতিসক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারে বারে সেই অসন্তোষ প্রকাশ করলেও এবার এই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অতিসক্রিয়তার পিছনে কি রহস্য তা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বললেন। মুখ্যমন্ত্রীর বিশ্বাস, ইডি-সিবিআইয়ের সক্রিয়তার পিছনে রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের হাত। ইডি-সিবিআই সব রিপোর্ট দেয় অমিত শাহকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ব্যাপারে সব কিছু জানেন না। ভাববেন না নরেন্দ্র মোদি এটা করেছেন। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আরএসএসের সবাই খারাপ আমি বিশ্বাস করি না। আর এবার তিনি আস্থা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর। এবারও তার বিশ্বাস, ইডি-সিবিআই নিয়ে মোদির কোনও হাত নেই। যদিও কেন্দ্রীয় সংস্থার ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনা করতে ছাড়েনি মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভায় তিনি বললেন, রাজ্য বিজেপির কয়েকজন নেতার কথায় কেন্দ্রীয় এজেন্সগুলো আমাদের দলের নেতাদের বিভিন্ন বাড়িতে হানা দিচ্ছে। মমতার সাফ কথা, সিবিআই বা ইডি নিরপেক্ষ হলে তারা কেন্দ্রে আসীন শাসকদলের নেতাদের বাড়িতেও তল্লাশি করুক। দেখা যাবে গেরুয়া পরে থাকা বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা বা বিদেশিমুদ্রা। যেভাবে এই সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি তল্লাশি করছে, তাতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর কিছু জানেন কি না, তা নিয়ে রীতিমতো সন্দেহ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশির নামে শুধু হেনস্থা করছে। আগামীদিনে রাজ্যবাসী এই হেনস্থার জবাব দেবে। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি এই সব কেন্দ্রীয় সংস্থার তল্লাশির বিরোধিতা করছেন না। কিন্তু এই সব এজেন্সগুলো আসলে বিজেপি নেতাদের কথাতে তল্লাশি করছে। তার আপত্তি এখানেই। যদিও বিজেপি নেতাদের দিকে আঙুল তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের মতো আমরা চোর নই। মুখ্যমন্ত্রী কি তাহলে বোঝাতে চাইলেন, নরেন্দ্র মোদি একেবারেই দোষমুক্ত? দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর তার ভূমিকা মুখ্যমন্ত্রী দরাজ হাতে সার্টিফিকেট দেওয়ার পিছনে কি ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট? সেই প্রশ্ন কিন্তু উঠতে শুরু করেছে।
দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ও সিবিআইয়ের অতিসক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য বিধানসভা সোমবার তিনি বলেন, এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা অনৈতিকভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। ভাববেন না নরেন্দ্র মোদি এটা করেছেন। মোদি সবকিছু জানেন না। রাজ্য বিজেপির কয়েকজন নেতার কথায় কেন্দ্রীয় এজেন্সগুলো আমাদের দলের নেতাদের বিভিন্ন বাড়িতে হানা দিচ্ছে। মমতার সাফ কথা, সিবিআই বা ইডি নিরপেক্ষ হলে তারা কেন্দ্রে আসীন শাসকদলের নেতাদের বাড়িতেও তল্লাশি করুক। দেখা যাবে গেরুয়া পরে থাকা বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা বা বিদেশিমুদ্রা। যেভাবে এই সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি তল্লাশি করছে, তাতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর কিছু জানেন কি না, তা নিয়ে রীতিমতো সন্দেহ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন- আমাদের নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশির নামে শুধু হেনস্থা করছে। আগামীদিনে রাজ্যবাসী এই হেনস্থার জবাব দেবে।বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি এই সব কেন্দ্রীয় সংস্থার তল্লাশির বিরোধিতা করছেন না। কিন্তু এই সব এজেন্সগুলো আসলে বিজেপি নেতাদের কথাতে তল্লাশি করছে। তাঁর আপত্তি এখানেই। এর বাড়ি-ওর বাড়িতে ঢুকে পড়ে টাকার পাহারের গল্প বলছে, স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি বিধায়কদের দিকে আঙুল তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন – আপনাদের বাড়িতে তল্লাশি হলে কার বাড়িতে কত টাকা আছে তা বেরিয়ে আসবে। কার কয়টি পেট্রোলপাম্প আছে, তল্লাশিতে সেটাও বেরিয়ে আসবে। এই হানাদারি নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে কাঠগড়ায় না তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি যা করছে তিনি বিশ্বাস করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই সব বিষয়ে কিছুই জানেন না। ২০২৪সালে এই সরকার ক্ষমতায় আসবে না। বিজেপি সরকার ডুবু ডুবু। কেন্দ্র সরকার আর কিছু বিজেপি নেতার গেম প্ল্যান চলছে। ঝাড়খন্ডেও সরকার ফেলার প্ল্যান করেছিলো। কিন্তু তা আটকে দিয়েছি। বিজেপি নেতাদের দিকে আঙ্গুল তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের মতো আমরা চোর নই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct