সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: তৃণমূল কংগ্রেসের বসে যান বিধায়ক ও রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী তাপস রায়ের পর এবার একই সুর কামারহাটি বিধায়ক কালারফুল বয় মদন মিত্রের কন্ঠে । ঘনিষ্ঠ মহলে মদন মিত্র জানিয়েছেন, তিনি এবার রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছেন । এ বিষয়ে দলের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তিনি যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা নেবেন। তৃণমূলের অন্দরে তিনি ‘কালারফুল বয়’ হিসেবে পরিচিত৷ তিন কুড়ি আট পেরিয়েও তিনি বরাবরই তরতাজা৷ এহেন মদন মিত্রের কন্ঠে এবার অবসরের সুর! কামারহাটির বিধায়কের উপলব্ধি, ‘‘নিজেকে নিজের মতো গুটিয়ে নিয়েছি। যা না পাওয়ার ছিল সেটা না পাওয়াই থাক। রোদন ভরা এ বসন্তের গান গাইতে যাইনি। অনেক দিন তো হল!’’ কেন একথা বলছেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মদন মিত্র৷ তাঁর নিজস্ব উপলব্ধি, ‘‘১৯৭২ সাল চলে গিয়েছে, আর বয়সের বাহাত্তর যাবে না!’’গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে অভিষেকর মুখে শোনা গিয়েছিল, ‘‘মানুষ ষাট বছরে অবসর নেয়। সরকারি বা বেসরকারি ক্ষেত্রে মানুষ এর বেশি কাজ করে না। রাজনীতিও সে রকমভাবেই করা দরকার।’’এরপরই সম্প্রতি দলের বর্ষীয়ান বিধায়ক তাপস রায়ের কন্ঠে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, রাজনীতিতে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আর থাকা উচিত নয়। আমাদেরও নির্দিষ্ট বয়সের পর অবসর নেওয়া উচিত। বিষয়টি নিয়ে সকলের ভাবা উচিত৷’’তারপরই অবসর ইস্যুতে নিজের মত সামনে এনেছেন মদন মিত্র৷ কবে অবসর নিচ্ছেন? মদন জানিয়েছেন, ‘‘সেটা দলকেই সঠিক সময়ে জানিয়ে দেব। দলের অনুমতি নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা নেব"। যা শুনে রাজনৈতিক মহলের মতে, এটা মদন মিত্রের নয়া কৌশলও হতে পারে৷ দলে সেই অর্থে গুরুত্ব পাচ্ছেন না৷ সেকারণেই এমন কৌশলী মন্তব্য কি না তা নিয়েও চর্চ্চা শুরু হয়েছে৷ যদিও মদন অনুগামীদের একাংশের মতে, দাদা অত্যন্ত আবেগপ্রবণ৷ ফলে এক্ষেত্রে ওনার বক্তব্যের অন্য মানে করা ঠিক নয়৷’’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct