আপনজন ডেস্ক: বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অনেক অভিভাবকই শিশুকে বাইরের খাবার খেতে উৎসাহিত করেন। বিভিন্ন চিপস থেকে শুরু জাঙ্ক ফুড কোনো কিছুতেই যেন মানা নেই! তবে এভাবে চলতে থাকলে শিশুর শরীরে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। তবে শিশুকে ভুলেও সকালের নাস্তায় সিরিয়াল বা অতিরিক্ত চিনিযুক্ত কোনো খাবার খাওয়াবেন না। কৃত্রিম রং মেশানো ও প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবারের বদলে সকালে শিশুকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান। অত্যধিক ক্যাফেইন হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, উদ্বেগ ও অনিদ্রার কারণ হতে পারে। ক্যাফেইন শিশুর জন্য অনেকটাই বিষাক্ত। এছাড়া এটি ক্যালসিয়াম শোষণ করে ফলে হাড়ের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়। কাঁচা শাকসবজি যেমন- ব্রকোলি, বেল মরিচ, মটর, ফুলকপি, মটরশুটি, ঢ্যাঁড়স ইত্যাদিতে উচ্চ মাত্রার নাইট্রেট থাকে, যা কাঁচা অবস্থায় খেলে শিশুদের দম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শিশুকে সব সময় সেদ্ধ ও রান্না করা খাবার খাওয়ান। আঙুর, কিশমিশ, বাদাম, শক্ত মটর ইত্যাদি খাবার শিশুর শ্বাসনালিতে আটকে যেতে পারে। ৫ বছরের কমবয়সী শিশুকে এসব খাবার আস্ত খেতে দেবেন না। তবে এগুলো গুঁড়ো করে খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। কিছু সাধারণ খাবারের কারণে শিশুর অ্যালার্জি হতে পারে যেমন- দুধ, চিংড়ি, ডিম, চিনাবাদাম, সয়াবিন, মাছ, বাদাম ইত্যাদি খাওয়ানোর আগে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। অপাস্তুরিত খাবার বা পানীয় শিশুকে খাওয়াবেন না। কারণ এসবে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা মারাত্মক ডায়রিয়া ও গুরুতর সংক্রামক অসুস্থতার কারণ হতে পারে। একইভাবে হিমায়িত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্সফ্যাট থাকে, যা ধমনী আটকে দিতে পারে। এর থেকে ছোট বয়সেই শিশুর হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। শিশুরা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতেও ভীষণ পছন্দ করে। তবে ভুলেও আর এই খাবার শিশুকে খাওয়াবেন না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct