আপনজন ডেস্ক: এই দুদিন আগে—১৮ আগস্ট ভারতের হয়ে তাঁর প্রথম মাঠে নামার ১৪ বছর পূর্তি হয়েছে। বিশেষ সেই দিনকে বিশেষভাবেই স্মরণ করেছেন বিরাট কোহলি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘১৪ বছর আগে এই যাত্রা শুরু হয়েছিল। ভারতের হয়ে খেলাটা সম্মানের।’ আন্তর্জাতিক অভিষেকের ১৪ বছর পূর্তির দিনটি কোহলির মনে ছিল। থাকারই কথা। প্রতিবছরই এই দিনটি আসে, আর কোহলির মনে পড়ে যায় ২০০৮ সালে ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে প্রথম ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করার সেই অনির্বচনীয় অনুভূতি। কিন্তু এ বছর এই দিনটি যে তাঁর ক্যারিয়ারে বাড়তি একটা তাৎপর্য নিয়ে হাজির হয়েছে, তা কি মনে ছিল কোহলির? হয়তো ছিল, হয়তো না। মনে থাকলেও সেটির কোনো প্রকাশ দেখা যায়নি। কারণটা তো অনুমেয়ই। বিষয়টা যে অস্বস্তিকর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের ১৪ বছর পূর্তির দিনটি কাকতালীয়ভাবে মিলে গেছে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিহীন ১০০০তম দিনের সঙ্গে। একসময় সেঞ্চুরি করাটাকে খাওয়া-ঘুমানোর মতো অভ্যাস বানিয়ে ফেলা কোহলির সর্বশেষ সেঞ্চুরি নিয়ে এত লেখা হয়েছে যে, তা মনে হয় সবার মুখস্থই হয়ে গেছে।
২০১৯ সালে ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশের বিপক্ষে ‘গোলাপি টেস্টে’র ১৩৬–এর কথা মনে হলে কোহলিরও নিশ্চয়ই দীর্ঘশ্বাস পড়ে। এরপর তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৭৯টি ইনিংস খেলে ফেলেছেন, সেঞ্চুরি আর পাওয়া হয়নি।সম্ভাবনা জেগেছে অনেকবার, তবে আসি আসি বলেও সেঞ্চুরি আর আসেনি। অথচ কলকাতার ওই সেঞ্চুরির পরের ইনিংসেই তা পেয়ে গিয়েছিলেন প্রায়। যদিও তা ছিল টি–টোয়েন্টিতে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ওই ইনিংসে কোহলি অপরাজিত ছিলেন ৯৪ রানে। এর কিছুদিন পরই সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন টেস্ট সেঞ্চুরিরও। কিন্তু ২০২০ সালের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাডিলেডের ওই টেস্টে রানআউট হয়ে যান ৭৪ রানে। ২০২২–এর জানুয়ারিতে কেপটাউন টেস্টে সঙ্গী পেলেও হয়তো সেঞ্চুরি–খরাটা এমন দীর্ঘ হয় না। ৭৯ রান করে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে যান কোহলি। ওয়ানডেতেও সুযোগ এসেছিল কয়েকবার, তবে নিজের দোষেই সেগুলোকে তিন অঙ্কে নিতে পারেননি। এ সময়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২৪টি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস, অথচ প্রতিটিই দীর্ঘশ্বাসের গল্প। সেঞ্চুরিহীন এই হাজার দিন স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব ফেলেছে কোহলির ক্যারিয়ারে। এই সময়ে কোহলি টেস্ট খেলেছেন ১৮টি, যেখানে তাঁর গড় মাত্র ২৭.২৫। এর আগে খেলা ৮৪ টেস্টে যা ছিল প্রায় ৫৫। ওয়ানডে খেলেছেন ২৩টি, গড় ৩৫.৮২। এর আগের ২৩৯ ওয়ানডেতে যেখানে তাঁর গড় ছিল ৬০.৩১। তবে টি–টোয়েন্টিতে এ সময়ে তাঁর ব্যাট আগের মতোই হেসেছে। ২৭টি টি–টোয়েন্টিতে রান করেছেন ৫০ গড়ে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct