এহসানুল হক, বসিরহাট, আপনজন: ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে ট্রাক চালকের বিক্ষোভ, ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে বিক্ষোভ দেখালো শ্রমিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংগঠন। তাদের দাবি অবিলম্বে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বন্ধ হোক,নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব । প্রশাসন সূত্রে খবর,রফতানিকারীরা এখন থেকে সরকারি ‘সুবিধা’ ওয়েবসাইটে গিয়ে স্লট বুকিং করতে পারবেন। তাঁদের গাড়ির যাবতীয় তথ্য, চালান দিয়ে স্লট বুকিং করতে হবে। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক গাড়ি ছাড়া হবে। কোন তারিখে গাড়ি ছাড়া হবে সেটা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। যার ফলে অনেকখানি কম হয়ে যাবে গাড়ি আটকে থাকার সমস্যা। উলটোদিকে, স্থানীয় ট্রান্সপোর্টার এবং ট্রাক মালিকদের দাবি, আগে গাড়ি কিছুটা সময় আটকে থাকার জন্য মাল নামানো, ওঠানো হতো স্থানীয় বিভিন্ন গোডাউনে। সেখানে ট্রাকচালক, খালাসি থেকে শুরু করে মুটে মজুরদের কাজ জুটতো। এখন আর সে উপায় নেই। গত ২৪ জুলাই নতুন সরকারি নিয়ম চালু হওয়ার পর থেকে ‘হাতে কাজ নেই’ বলে দাবি অধিকাংশ ট্রাক চালক, মুটে -মজুর বা ট্রান্সপোর্টারদের। নিয়ম বাতিলের দাবি নিয়ে তাই আন্দোলনে নামল ট্রাক মালিক সহ ট্রান্সপোর্টাররা। রাজ্য সরকারের নতুন স্লট বুকিং নিয়ম চালু হওয়ায় কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কায় ঘোজাডাঙা সীমান্তে কয়েক হাজার ট্রাক মালিক, ট্রান্সপোর্টার ও মুটে মজদুরদের। সুত্রে খবর, ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক স্তরে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়েছে৷ এই নিয়ম বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তবে সরকারের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও সদুত্তর পাওয়া যায় নি।বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন মহল,তারা বলেন, “ঘোজাডাঙায় ৮০ শতাংশ মানুষ এই আমদানি-রফতানি কাজের সঙ্গে যুক্ত। ২০০ ট্রান্সপোর্টার, দেড় থেকে দুশো গোডাউন এবং তার কর্মচারী, সাত হাজারের বেশি ট্রাক, ট্রাকের চালক, খালাসি সহ কয়েক হাজার মানুষ কাজের সংস্থান পাবে না। আমরা সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এমনিতেই রাজ্যে কর্মসংস্থান বলে কিছু নেই, তার মধ্যে ঘোজাডাঙায় এতগুলো মানুষের বিষয়টি অবিলম্বে সরকারের ভেবে দেখা উচিত। “
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct