আপনজন ডেস্ক: লখনউয়ের সদ্য উদ্বোধন করা লুলু মলের ভিতরে একদল লোককে নামাজ পড়তে দেখা যাচ্ছে এমন একটি ভিডিও নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের তিন দিন পরে মল প্রশাসন একটি বিবৃতিতে বলেছে যে তাদের ৮০ শতাংশ কর্মচারী হিন্দু। মলটি তার কর্মসংস্থান নীতিতে মুসলিমদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেছে বা অগ্রাধিকার দিয়েছিল এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিল। লুলু গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল হল মলের মূল সংস্থা যার সদর দপ্তর সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অবস্থিত। । ভারতীয় বংশোদ্ভূত ধনকুবের ইউসুফ আলি এম এ-র নেতৃত্বে আবু ধাবি-ভিত্তিক এই লুলু গ্রুপ।
লুলু মল লখনউ প্রশাসন মুসলিম পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, এটি একটি সম্পূর্ণ পেশাদার প্রতিষ্ঠান যারা ধর্মীয় কোনও বৈষম্য ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনা করে। আমাদের কর্মীদের দক্ষতা ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়, জাতি, শ্রেণি বা ধর্মের ভিত্তিতে নয়। এটি দুঃখজনক যে কিছু স্বার্থপর উপাদান আমাদের প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যবস্তু করার চেষ্টা করছে। এটি আরও স্পষ্ট করে দেয় যে তাদের কর্মচারীরা ৮০ শতাংশ হিন্দু এবং বাকিরা মুসলিম, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য বিভিন্ন সম্প্রদায়ের। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মল প্রশাসন একটি এফআইআর দায়ের করেছে এবং যারা “পরিকল্পিতভাবে” পাবলিক প্লেসে প্রার্থনা সংগঠিত করার চেষ্টা করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে।
অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার লুলু মলে প্রবেশ করে হনুমান চালিসা পাঠ শুরু করার পর সম্প্রতি দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। শপিং মলে ঢোকার চেষ্টা করার সময় গোলমাল পাকানোর অভিযোগে আরও অন্তত ১৫ জনকে আটক করা হয়। সম্প্রতি মলে নামাজ পড়া একদল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ১৫৩এ (বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা) এবং ২৯৫এ (ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত কাজ) ধারায় পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে। যারা নামাজ পড়ছিল তাদের নামাজ পড়ার রীতি না মেনে নামাজ পড়ায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইমাম একদিকে মুখ করে নামাজ পড়ছে, অন্যরা অন্যদিকে মুখ করে। অথচ ভারতীয়রা শুধু পশ্চিমদিকেই মুখ করে নামাজ পড়ে থাকেন। তাই সন্দেহ দেখা দিয়েছে আদৌ তারা মুসলিম কিনা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct