আপনজন ডেস্ক: ব্রিটেনের শীর্ষ মুসলিম গোষ্ঠী ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে কনজারভেটিভ পার্টির “পদ্ধতিগত” ইসলামোফোবিয়াকে গুরুত্বসহকারে মোকাবেলা করার দাবি জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছ থেকে ইসলামোফোবিয়া নিয়ে উদ্বেগজনক নীরবতা লক্ষ্য করেছে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে, যখন তার পদস্খলন শুরু হয়। এ ব্যাপারে ব্রিটেনের মুসলিম কাউন্সিলের মহাসচিব জারা মোহাম্মদ বলেন, জনসনের উচিত ছিল গত সপ্তাহে তার পদত্যাগপত্র বক্তৃতায় মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাওয়া। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, টোরি পার্টিতে ইসলামোফোবিয়া মোকাবেলায় ‘কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ’ নেওয়া হয়নি। জারা বলেন, মুসলিম কাউন্সিল অফ ব্রিটেন ২০১৯ সাল থেকে দলের মধ্যে ইসলামোফোবিয়ার ৩০০ টিরও বেশি ঘটনা রেকর্ড করেছে। তিনি আরও বলেন, যে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই প্রত্যেকের প্রতিনিধিত্ব করতে হবে এবং তাদের নিশ্চিত করতে হবে যে তারা এটি নিরপেক্ষভাবে করে।
তিনি বলেন, “আমরা দেখতে চাই এই নতুন প্রার্থীরা এলে এই বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করেন। কারণ এটি বেশ গভীরভাবে বসে আছে। তিনি জানান, আমরা ৩০০ টিরও বেশি মামলা পেয়েছি। পাশাপাশি দলের সিনিয়র সদস্যরা নিজেরাই এই সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করেছেন। দলের সাম্প্রতিক বিতর্কগুলির মধ্যে রয়েছে কনজারভেটিভ এমপি নুসরাত গনিকে নিয়ে। ব্রিটিশ পরিবহন মন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার সময় তার “মুসলিম” সত্তার কথা উত্থাপিত করা হয়েছিল। যদিও সাংসদ মার্ক স্পেন্সার এসব অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। কনজারভেটিভ পার্টিতে ইসলামোফোবিয়ার বিষয়ে পর্যালোচনারর পরে যদিও দলটি যে াপের মুখে পড়ে। তাদের মধ্যে মুসলিম-বিরোধী মনোভাব বিদ্যমান ছিল। তাই মুসলিম কাউন্সিল নয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে সরব হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct