আপনজন ডেস্ক: সংসদে ১৮ জুলাই থেকে বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেল পিসি মোডি যে বুলেটিন জারি করেছেন, তাকে ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সাংসদদের সহযোগিতা চেয়ে বুলেটিনে বলেছেন, সাংসদরা সংসদ ভবনের সীমানা কোনো বিক্ষোভ, ধর্না, ধর্মঘট, অনশন বা কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পাদনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারবেন না। ১৪ জুলাই এই নির্দেশিকার জারির পর তার কপি তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়া ট্যুইটারে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এবং রাজ্যসভায় দলের চিফ হুইপ জয়রাম রমেশ কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে লেখেন, “বিশ্বগুরুর সর্বশেষ নিদান: ড (ধ)রনা মানা হ্যায়!,” অবশ্য বিরোধী দলের সদস্যরা অতীতে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এবং সংসদ চত্বরে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির বাইরে বিক্ষোভ ও অনশনও করেছেন। এছাড়া,সংসদে কিছু শব্দ ব্যবহারের সার্কুলারটিও বিরোধী দলের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে। বুধবার লোকসভার সচিবালয় জানিয়েছে, এমন কিছু শব্দ রয়েছে যা এখন দুই কক্ষে ‘অসংসদীয়’ হিসাবে বিবেচিত হবে। তার মধ্যে অন্যতম ‘জুমলাজিভি’, ‘বাল বুদ্ধি’, ‘কোভিড স্প্রেডার’,‘স্নুপগেট’, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, ‘লজ্জিত’, ‘নির্যাতিত, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘ভণ্ডামি’, ‘অযোগ্য’ প্রভৃতি। যদিও, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বরেছেন, সংসদে কোনও শব্দ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়নি তবে প্রাসঙ্গিক ভিত্তিতে এটি মুছে ফেলা হবে। সদস্যরা হাউসের মান বজায় রেখে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct