আপনজন ডেস্ক: গত রবিবার উত্তর প্রদেশের লখনউ শহরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রোড়পতি ইউসুফ আলি এম এ-এর নেতৃত্বাধীন আবুধাবি-ভিত্তিক লুলু গোষ্ঠীর ‘লুলু মল’-এর উদ্বোধন করেন। কিন্তু সেই শপিং মলের মধ্যে একদল মানুষের নামাজ পড়ার দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর লোকজন সেখানে পূজাপাঠের দাবি করায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার মলের কাছে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার কয়েকজন সদস্য হনুমান চালিসা পাঠ করার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতিও চান। তার নেতৃত্ব দেন মহাসভার জাতীয় মুখপাত্র হিসাবে পরিচিতি দেওয়া শিশির চতুর্বেদী। এরপরই বিতর্ক দানা বাঁধে। জানা গেছে এই বিতর্কের পর লুলু মলের পরিচালন কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার সুশান্ত গল্ফ সিটি পুলিশ স্টেশনে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করতে বাধ্য হয়। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার কয়েকজন সদস্য মলের গেটের বাইরে পৌঁছে বিক্ষোভ দেখান। তাদের দাবি ‘একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে মলের ভিতরে নমাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। মল কর্তৃপক্ষের উচিত হিন্দু ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকদেরও প্রার্থনা করার অনুমতি দেওয়া। শিশিরর চতুর্বেদীর অভিযোগ হিন্দু মহাসভার অন্যান্য সদস্যদের মলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। লখনউয়ের ওই মলের জেনারেল ম্যানেজার সমীর ভার্মা এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেন, ‘লুলু মল সব ধর্মকে সম্মান করে। এখানে কোনো ধরনের ধর্মীয় কাজ বা নামাজ পড়ার অনুমতি নেই। আমরা এ নিয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিই। মল চত্বরে নমাজ পড়া নিয়ে বিতর্ক নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। এদিকে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য নিকটবর্তী সুশান্ত গল্ফ সিটি থানার কয়েকজন পুলিশ কর্মী মলের নিয়োজিত রযেছেন। তবে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে, মলের ভিতরে নমাজ পড়ায় রাজ্য সরকারের পাবলিক প্লেসে ধর্মাচরণ নিষিদ্ধ আইনের পরিপন্থী। উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) গোপাল কৃষ্ণ চৌধুরী বলেন, অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও এই মলের কর্মীদের মধ্যে ৭০ শতাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ের পুরুষ এবং বাকি ৩০ শতাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের মহিলা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct