নাজিম আক্তার, চাঁচল, আপনজন: সিসি টিভি ফুটেজ থানায় জমা দেওয়া আছে। ছিনতাই কান্ডের দুই সপ্তাহ কেটে গেলেও ধরা পড়েনি দুষ্কৃতিরা। তাই অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে আবার সোমবার থানার দারস্থ হলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক। এদিন থানায় এসে ওই শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, তাঁকে ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমকে জানাতে বারণ করেছিল পুলিশ। কিন্তু এতদিন হয়ে গেলেও পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেনি। পুলিশি ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই শিক্ষক। সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে দ্রুত দুষ্কৃতিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক আনোয়ারুল হক জানান, গত মাসের ১৬ তারিখে চাঁচলের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে এক লক্ষ পঁচানব্বই হাজার টাকা তুলে পিডব্লুডি অফিসের নিকটে নিজের দোকানে আসেন ওই শিক্ষক। টাকা ভর্তি ব্যাগটি রেখে দোকানের সাটার খোলার সময় দুস্কৃতিরা মোটরবাইকে করে এসে ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায়।সমস্ত ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।চাঁচল থানায় সিসিটিভি ফুটেজ সহ লিখিত অভিযোগ জানানোর দুই সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও পুলিশ কিনারা করেনি।বৃদ্ধ বয়সে থানায় আসতে পারেন না।ছেলে বাংলাদেশের ঢাকায় পড়াশুনা করে।ছেলেকে পড়াশোনার খরচ দিতে পাড়ছি না। গত মাসেই চাঁচল সদরে নিরাপত্তা জোড়দার করতে গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ববসায়ীদের তরফে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। ঘটা করে সিসিটিভি কন্ট্রোলরুমের উদ্ধোধন করেছিলেন মালদা রেঞ্জের ডিআইজি অলোক রাজোরিয়া।তারপরেও প্রকাশ্য দিবালোকে চাঁচল সদরে ঘটেছে দুঃসাহসিক ছিনতাই। সিসিটিভির ফুটেজ থাকা সত্বেও ঘটনার কিনারা করতে পুলিশ কেন ব্যর্থ প্রশ্ন তুলেছেন চাঁচলবাসী।ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপি চাপান উতোর। যদিও চাঁচলের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভেন্দু মন্ডল বলেন,সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে দুষ্কৃতীরা দ্রুত পুলিশের জলে ধরা পড়বে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct