আপনজন ডেস্ক: ২০২০ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় দেওয়া বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের অভিযোগে বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর ও পরভেশ ভার্মার বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করার অনুমতি দেওয়ার জন্য সিপিএমের বৃন্দা কারাটের আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের বিদ্বেষ ভাষণ নিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট কড়া মন্তব্য করেছে। বিদ্বেষ ভাষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিচারপতি চন্দ্র ধারি সিং বলেছেন, নির্বাচিত প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতারা বিশেষ করে ধর্ম, বর্ণ, অঞ্চল বা জাতিসত্তার ভিত্তিতে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেন, যা ভ্রাতৃত্ববোধের ধারণার পরিপন্থী। তিনি বলেন, এ ধরনের ব্যক্তিরা ‘সাংবিধানিক মূল্যবোধকে পিষে দেয়’ ও সংবিধানের অধীনে প্রদত্ত সমতা ও স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে। এটা সংবিধানের অধীনে নির্ধারিত মৌলিক কর্তব্যের প্রতি চরম অপমান।
তাই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কড়া পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি। আদালত আরও বলে, বিদ্বেষমূলক বক্তব্যে নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়কে বৈষম্য থেকে শুরু করে বর্জন, নির্বাসন এবং এমনকি গণহত্যর ডাক দেওয়া কোনও নেতার পক্ষে উপযুক্ত নয়। আরও বলা হয়, ভারতের মতো গণতন্ত্রে, নির্বাচিত নেতারা কেবল তাদের নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের প্রতিই নয়, বরং সমগ্র সমাজ ও জাতির প্রতি এবং শেষ পর্যন্ত সংবিধানের প্রতিও তাদের দায়িত্ব বহন করেন। তাই সব পর্যায়ে ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্যর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। আইন প্রয়োগকারী সব সংস্থাকে অবশ্যই নিশ্চিত করা উচিত যে আইনকে মৃত করে রাখা হবে না। বিচারিক আদালতে তাদের আবেদনে বৃন্দা কারাট এবং কেএম তিওয়ারি বলেছিলেন যে অনুরাগ ঠাকুর এবং পরভেশ বর্মা “মানুষকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, যার ফলে দিল্লির দুটি পৃথক বিক্ষোভস্থলে তিনটি গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে”।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct