ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের খুব কাছাকাছি আছেন কট্টর ডানপন্থী নেতা রদ্রিগো দুত্রেতে। বিবিসি তার প্রতিবেদনে একজনে পুলিং অফিসারকে উদ্ধৃতি করে জানায়, ভোট গণনায় সে (রদ্রিগো) অনেক এগিয়ে আছে। তবে অফিসিয়ালি ঘোষণা আসতে আরো সময় লাগবে।
এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও কট্টর ডানপন্থী প্রার্থী রদ্রিগো দুত্রেতে শুরু থেকেই এগিয়ে ছিল। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের শহর দাভাদোরে ২২ বছর ধরে নির্বাচিত এই মেয়র নির্বাচন পূর্ববর্তী জরিপগুলোতে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। প্রচারণায় রদ্রিগো অর্থনীতি সংস্কার, অবকাঠামো উন্নয়ন, অসাম্য ও ভয়াবহ দুর্নীতি নির্মূলের বিষয়গুলোর পাশাপাশি চীনের সঙ্গে দক্ষিণ চীন সাগরের বিবদমান দ্বীপের মালিকানা তুলে ধরেছেন। গুরুত্ব দিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের বিষয়কে।
তবে 'পানিসার' বা দণ্ডনায়ক খ্যাত এ প্রার্থী বেশি আলোচনায় ছিলেন প্রচারণা চলাকালে তার করা 'সন্ত্রাসীদের জবাই করা উচিত' ও 'অস্ট্রেলীয় এক মিশনারি নারীকে' হত্যা ও ধর্ষণে 'তারই প্রথম হওয়া' উচিত ছিলসহ নানান নেতিবাচক মন্তব্যের জন্য। ১৯৮৯ সালে দাভাদো অঞ্চলে তিনি মেয়র থাকাকালীন সময়েই কারাগারের দাঙ্গায় জ্যাকুলিন হ্যামিলস নামে ওই অস্ট্রেলীয় মিশনারি নারী হত্যা ও ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। পরে অবশ্য নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন রদ্রিগো দুত্রেতে।
এবার তার নির্বাচনের স্লোগান ছিল 'পরিবর্তন আসছে'। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি বলেছেন, নির্বাচিত হলে জনগণের মতামত নিয়েই দেশের সমস্যা নিরসনে উদ্যোগী হবেন। তার এই প্রচার তরুণদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আরও পড়ুন: