দেবাশীষ পাল,মালদা,আপনজন: মৃত্যুর আগে সরকারি ভাতা ও বাড়ি পাওয়ার জন্য রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর কাছে করুন আবেদন ১০০বছর পার করা বিধবা বৃদ্ধার। মালদা জেলার মানিকচক ব্লকের অন্তর্ভুক্ত এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শেখপুরা গ্রামে বাস করেন ১০০ বছর পার করা অসহায় বিধবা বৃদ্ধা আনেখা বেওয়া স্বামী মোহাম্মদ সাহিদ মারা গেছেন প্রায় ৩৫ বছর আগে। বর্তমানে চোখে সেরকম দেখতে পান না_ কানেও কম শুনেন_ লাঠির ভরসায় হাঁটাচলা করেন।বিধবা বৌমার অভাবি সংসারে কোন রকম করে বেঁচে রয়েছেন ভাঙ্গা পুরনো দিনের টালির চাল দেওয়া ইটের বাড়িতে যার বর্তমানে ভগ্নদশা। দুবেলা খাবার জোটে রাজ্য সরকারের দেওয়া বিনামূল্যে রেশন ও বৌমার সামান্য দিনমজুরের কাজের উপার্জনের টাকা দিয়ে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী সামাজিক প্রকল্প থাকলেও কোনো অজ্ঞাত কারনে আজও বিনামূল্যে রেশন ছাড়া কোন সরকারি সাহায্য পান না আনেখা বেওয়া। ৩৫ বছর আগে বিধবা হয়েছেন বর্তমানে বয়স ১০০ বছর বহুবার আবেদন দেওয়া সত্ত্বেও হয়নি বার্ধক্য ভাতা।তাই অসহায় হয়ে ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন মৃত্যুর আগে সরকারি ভাতা ও সরকারি সাহায্যে বাড়ি পাওয়ার জন্য। কিন্তু এই বৃদ্ধাকে নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই কারোর। একেবারে বৃদ্ধার বাড়িসংলগ্ন বাড়ি এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানের।
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে গেলে স্থানীয় তৃণমূলের দাপুটে নেতা তথা এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানের স্বামী মোঃ তোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন আনেখা বেওয়া সেখপুরা গ্রামে থাকেন না_ থাকেন মেয়ের বাড়ি সাহেবনগরে। কিন্তু তার মেয়ের স্পষ্ট বক্তব্য _ আমার মা সেখপুরাতেই থাকেন। আজও কোন সরকারি সুযোগ পাচ্ছে না, ১০০ বছর পার হলেও আজও ভাতা পায়নি। উপ-প্রাধানের মা এর নামে দুই দুই বার বাড়ি পেলেও আমার মা আজও বাড়ি পায়নি। কিন্তু সরকারী তথ্য বলছে বিগতদিনে বহু সরকারি ভাতা অনুমোদনও হয়েছে এবং শেখপুরা গ্রামে অনেকেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং সংখ্যালঘু দুস্থ মহিলার পূর্নবাসন প্রকল্পে বাড়ি তৈরীর জন্য টাকা পেয়েছেন যারমধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থানীয় তৃণমূলের দাপুটে নেতা মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেনের মা আকুল বেওয়া স্বামী মৃত শেখ রামিজ এর নাম, যিনি বর্তমান এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মেহবুবা খাতুন এর সম্পর্কে শাশুড়ি। এই বাড়ি সম্পর্কে তৃণমূল নেতাকে প্রশ্ন করাতে তিনি বলেন আবাস যোজনায় যাদের নাম রয়েছে তারা বাড়ি পেয়েছেন। কিন্তু উনার মা সংখ্যালঘু দুস্থ মহিলার পূর্নবাসন প্রকল্পে বাড়ি পেয়েছেন এব্যাপারে এরিয়ে যান। স্থানীয় প্রতিবেশীরাও স্পষ্ট জানিয়েছেন শেখপুরা গ্রামেই খুব অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করছেন ১০০ বছর পার করা বিধবা বৃদ্ধা তার বিধবা বৌমার অভাবি সংসারে সামান্যটুকু উপার্জনের ওপরই ভরসা করে। উনার সরকারি ভাতা ও বাড়ির ব্যবস্থা হলে উপকৃত হবেন। আমাদের সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমেও রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানায় আনেখা বেওয়া মৃত্যুর আগে যেন সরকারি ভাতা ও সরকারি সাহায্য বাড়ি পেতে তারপর ব্যবস্থা করার জন্য।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct