আপনজন ডেস্ক: গুজরাত দাঙ্গার স্মৃতি দূরে ঠেলে গুজরাতের দালভানা জেলার ১২০০ বছরের পুরনো বারান্দা বীর মহারাজ মন্দির কর্তৃপক্ষ আয়োজন করল ইফতার মজলিশ। মন্দিরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মুসলমানদের জন্য দ্বার উন্মুক্ত করে বনসকান্থা গ্রামের প্রায় ১০০ জন মুসলিম অধিবাসীকে মন্দিরে ইফতারে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তারা শুধু ইফতার করেননি, মন্দির চত্বরে মাগরিবের নামাজও পড়েন।
এখানকার মুসলিম পরিবারগুলি পালনপুরের শাসকদের বংশধর। পালানপুরের নবাবরা মন্দির নির্মাণের জন্য জমি দান করেছিলেন। মন্দিরের পুরোহিত পঙ্কজ ঠাকরে বলেন, ‘এই প্রথম মন্দির চত্বরে মুসলিমদের জন্য রোজা খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই মন্দিরটি একটি ঐতিহাসিক স্থান এবং পর্যটকরা সারা বছর ধরে মন্দিরটি দেখতে আসেন। কখনও কখনও হিন্দু ও মুসলিম উৎসব একসাথে অনুষ্ঠিত হয় এবং গ্রামবাসীরা একে অপরকে সাহায্য করে। এ বছর মন্দির ট্রাস্ট এবং গ্রাম পঞ্চায়েত মুসলিম রোজাদারদের মন্দির প্রাঙ্গনে ডেকে উপবাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রায় ১০০ জন মুসলিম ভাইয়ের জন্য ৫-৬ রকমের ফল, খেজুর, শরবতের ব্যবস্থা করা হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে স্থানীয় মসজিদের মাওলানা সাহেবকে স্বাগত জানাই। গ্রামের প্রধান পিঙ্কিবা রাজপুত বলেন, ‘মুসলিম ভাইয়েরা রামনবমী এবং হোলি উপলক্ষে আমাদের সাহায্য করে, তাই আমরা ভেবেছিলাম এই বছরও তাদের জন্য কিছু করা উচিত। আমাদের গ্রাম সারা দেশের জন্য সামাজিক ঐক্যের একটি উদাহরণ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct