রঙ্গিলা খাতুন,কান্দি,আপনজন: ১৬ বছর আগে বিবাহ হয়েছিল কান্দি থানার মনিগ্রামের বাসিন্দা নূরচাঁদ সেখের সঙ্গে ওই গ্রামের সেলিনা বিবির। তবে যতই দিন যায় সংসারে অশান্তি বেড়েই গিয়েছিল। মঙ্গলবার পারিবারিক অশান্তি শুরু হয় বচসা দিয়ে। তারপর তা রূপ নেয় গ্রামের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের। অভিযোগ, এরপর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয় অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ। মুর্শিদাবাদের কান্দি এলাকার মণিগ্রামের এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।। দাম্পত্য কলহ শেষপর্যন্ত পৌঁছাল পারিবারিক বিবাদে। আর তা থেকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল পাড়ার দুই গোষ্ঠী। সংঘর্ষে প্রাণ গেল একজনের। মঙ্গলবার সকালে পারিবারিক বিবাদ থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মুর্শিদাবাদের কান্দির মণিগ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামের বাসিন্দা নুরচাঁদ সেখ ও তার স্ত্রী সেলিনা বিবির সঙ্গে দাম্পত্য কলহের জের পৌঁছেছে আদালত পর্যন্ত
নুরচাঁদ সৌদি থেকে ফিরে আসার পর সেই কলহ আরও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। এদিন সকলে ওই বিবাদ নিয়েই পাড়ার দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল মারামারি শুরু হয়েছে যায়। ধারাল অস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপরে চড়াও হয় বলে গ্রামবাসীদের দাবি। সংঘর্ষে আহত হন নুরচাঁদের ভাই জামিরুল। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি। তাঁর মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছাতেই উত্তেজিত মানুষজন সেলিনা বিবির বাবার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে দমকল। এলাকায় বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নূরচাঁদ বলেন, আমাদের সংসার খুব সুখের ছিল কিন্তু আমি যেদিন থেকে সৈয়দি যেতে শুরু করেছি সেদিন থেকেই, আমার স্ত্রী কে নিয়ে আমার সালি বাড়িতে বিভিন্ন সময়ে অশান্তি তৈরি করত। আমাদের এই ঝামেলার কারণ আমার শালি। অন্যদিকে সেলিনা বিবি বলেন, ‘আমার তিন মেয়ে হওয়ার পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোক আমাকে দেখতেই পারত না। সৈয়দি থেকে আমার স্বামী বাড়িতে আসার পর অকারণে আমাকে মারধর করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct