নাজিম আক্তার,হরিশ্চন্দ্রপুর,আপনজন: সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে দুই অভিযুক্তের থানায় আত্মসমর্পণের পর মেয়াদের শেষ দিন মঙ্গলবার চাঁচল মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন বন্যা ত্রাণ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনামনি সাহা। উল্লেখ্য,২০১৭ সালে মালদা জেলায় ভয়াবহ বন্যা হয়।ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ।রাজ্য সরকার মালদা জেলায় ৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকে দুই ধাপে বরাদ্দ হয় ১৩ কোটি।এর মধ্যে পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে প্রায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল।বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ৭,৩৯৪ টি পরিবার।ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ৭০ হাজার ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ৩,৩০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনামনি সাহা ও তৃণমূল নেতা আফসার হোসেনের বিরুদ্ধে ৭৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রোশনারা খাতুনেরও বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল।তাদের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের মামলা হয়।তারা সকলেই পলাতক ছিল।প্রথমে তাদের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট হুলিয়া জারি করে। পরে সুপ্রিমকোর্ট ১৪ দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।অভিযুক্ত আফসার হোসেন ও রোশনারা খাতুন থানায় আত্মসমর্পণ করলেও প্রধান ফেরার ছিল।মেয়াদের শেষ দিন মঙ্গলবার চাঁচল মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান সোনা মনি সাহা বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আমি কোর্টে আত্মসমর্পণ করলাম।কিন্তু আমার বিরুদ্ধে উঠা সব অভিযোগ মিথ্যা।আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।আমি সিবিআই তদন্তের দাবি করছি।কারা এর পিছনে জড়িত তা প্রমাণ হয়ে যাবে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct