আপনজন ডেস্ক: প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসের ডিম অন্যতম অংশ। ডিম ভাজা থেকে শুরু করে, সিদ্ধ, কারি, পোচ, ডিমের পুডিং যেন তালিকার শেষ নেই। আর সরাসরি রান্না বাদেও ডিম অন্যান্য খাবারে ব্যবহার হয়ে আসছে। একটি বড় ডিমের ওজন প্রায় ৫০ গ্রাম হয়ে থাকে । সিদ্ধ করা ডিমে রয়েছে ক্যালোরি, শর্করা, স্নেহ প্রোটিন, থায়ামিন (বি১), রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, লোহা, ম্যাগনেসিয়াম, মিলিগ্রাম ফসফরাস, পটাশিয়াম, দস্তাসহ অন্যান পদার্থ। পুষ্টিগুণে ভরা ডিমকে বলা হয় পাওয়ার হাউস অব নিউট্রিশন। প্রাণীজ প্রোটিনের মধ্যে ডিম হলো আদর্শ প্রোটিন। ডিম শুধু আদর্শ প্রোটিনই নয়, বরং অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে এতে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। এটি হৃদরোগের বিরুদ্ধে অনেক কার্যকরী। ডিমের একটা বিষয়ে নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়। যারা মুরগির ডিম খান, তারা প্রায়ই বুঝতে পারেন না কোনটা খাবেন সাদা না বাদামি। অন্যান্য খাবারের হিসাব যদি করেন, তবে সাদার চেয়ে বাদামিটাই বেশি স্বাস্থ্য ও পুষ্টিকর বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন- সাদা আটার চেয়ে বাদামি আটা বেশি পুষ্টিকর। সাদা চালের চেয়ে বাদামি চালের ভাত বেশি স্বাস্থ্যকর। সেই হিসাবে বাদামি ডিম কেন বেশি ভালো হবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাদা বা বাদামি দুটি ডিমের মধ্যে পুষ্টিগত দিক থেকে তেমন কোনও বড় পার্থক্য নেই। তবে দেখা গিয়েছে, বাদামি ডিমের মধ্যে বেশি পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তবে এই ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ এতটাও বেশি থাকে না যে তার জন্য পুষ্টির বিরাট বড় কোনও পার্থক্য হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেন, এই বাদামি ডিমের প্রোটিন, কোলেস্টেরল এবং ক্যালোরির ভারসাম্য সাদা ডিমের থেকে ভালো।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct