আপনজন ডেস্ক: এই রোগে আক্রান্তরা ঘুমানোর সময় শ্বাস-প্রশ্বাস অনিয়মিত হয়ে যায়। মূলত শ্বাসতন্ত্রের উপরের অংশের নালী বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এ সমস্যা দেখা দেয়। পিএমসির তথ্য বলছে, বিভিন্ন ধরনের স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে, তবে সবচেয়ে বেশি যা দেখা যায় অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (ওএসও)। এ রোগে আক্রান্তদের গলার পেশি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি শিথিল হয়ে আসে। এই পেশি মুখগহ্বরের টাকরা, আল জিভ, জিহ্বা ও টনসিলের মত অংশগুলিকে ধরে রাখে। ফলে এ পেশির শিথিল হয়ে গেলে শ্বাস নেওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে আসে ও ঘুমের সময় আচমকা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়।যুক্তরাষ্ট্রে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ২ থেকে ৪ শতাংশ এ সমস্যায় ভোগেন। তাদের মধ্যে মধ্যবয়সীদের সংখ্যাই বেশি। সশব্দে নাক ডাকা, ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসা, আচমকা ঘুম ভেঙে যাওয়া, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঘুম থেকে ওঠার পর মাথাব্যথা, দিনের বেলায় ঘুমের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া বা ঘন ঘন মেজাজ বদল এ সমস্যার সাধারণ উপসর্গ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া এমনিতে প্রাণ সংহারী নয়। তবে এ রোগের কারণে গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতা তৈরি হতে পারে, যা মৃত্যু ডেকে আনতে পারে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct