কুতুবউদ্দিন মোল্লা,জয়নগর,আপনজন: দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর থানার অন্তর্গত ধোষা-চন্দনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিলপি’র কুলবেড়িয়া গ্রামে। কবর খুঁড়ে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল শুক্রবার দুপুরে। এদিনের ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে তিলপির লস্করপাড়ার কবরস্থান থেকে গৃহবধূ মোফিজা লস্করের দেহটি তুলে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে গত ৯ বছর আগে ফোনে আলাপ হয় ক্যানিংয়ের ধর্মতলা গ্রামের মোফিজার সাথে জয়নগরের তিলপির কুলবেড়িয়ার সাদ্দাম লস্করের। পরে ধর্মীয় নিয়ম মেনেই বিয়ে হয়। দম্পতির সাড়ে আট বছরের এক পুত্র ও সাড়ে চার মাসের এক কন্যা রয়েছে। মৃতদেহের বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ বিয়ের পর থেকে এলাকার এক মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে সাদ্দামের। এমনটাই জানতে পারেন গৃহবধু মোফিজা। তারপর থেকে মোফিজার সাথে সাদ্দামের মনোমালিন্য বাড়ে। আচমকা গত ২৪ জানুয়ারী সাদ্দামের ভাই ইসরাফিল লস্কর ফোন করেন মোফিজার বাপের বাড়ির লোকজনকে জানায় মোফিজা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এমন দুঃসংবাদ পেয়ে পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়ে।
গৃহবধূর ভাই সরিফুল সরদার জানিয়েছেন, আত্মহত্যা করেনি। দিদি মারা গিয়েছে। দুই বাচ্চার ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে প্রথমে পুলিশ প্রশাসনকে জানাইনি। দিদির ছেলে-মেয়েদের নামে সাদ্দাম তার পাঁচ কাঠা সম্পত্তি লিখে দেওয়ার শর্ত দেয়। সরিফুল বলেন, আমরা সেই আশায় ছিলাম। সম্পত্তি লিখে দিতে বেশকিছু দিন সময় গড়িমসি করে। পরে ১৬ ফেব্রুয়ারী সম্পত্তি লিখে দেবে বলে জানায়। সেই মতো আমাদের কে জয়নগর থানার অন্তর্গত বারাসাত এলাকায় মৌরির কাছে যেতে বলে সাদ্দাম। আমরা যাচ্ছিলাম। সাদ্দাম তার লোকজন বোমা মারার চেষ্টা করে। করাবেগ এলাকায় আচমকা ওদের ব্যাগের মধ্যে রাখা বোম ফাটে। ওরা পালিয়ে যায়। পরে আমরা ওই দিনই জয়নগর থানায় বিচার চেয়ে একটি অভিযোগ জানাই। অন্যদিকে অভিযুক্ত জয়নগরের তিলপি গ্রামের সাদ্দাম সহ তার পরিবার পরিজন পলাতক। অপরদিকে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জয়নগর থানার পুলিশ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct