আপনজন ডেস্ক: বাস্তবে একজন সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করা খুব কঠিন কাজ। এর কারণ হলো, তারা পরিশ্রম অনুযায়ী উপার্জন করতে পারে না। তারা কাজের প্রতি অনেক বেশি নিবেদিত থাকে। সবার ছুটি থাকলেও তারা সেভাবে ছুটি পায় না। যার ফলে প্রিয়জন এবং পরিজনদের সময়ও দিতে পারে না। জেনেশুনে এমন মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে অনেকেই সম্পর্ক জুড়তে চাইবে না। একজন সাংবাদিকের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ানো সহজ কথা নয়, কথাটি যেমন সত্য, তেমন এটি ততটাও অলাভজনক নয়। সাংবাদিকের সঙ্গে জীবন জড়ালে আপনি অনেক ক্ষেত্রে লাভবান হবেন। অনেক বেশি অভিজ্ঞতায়ও সমৃদ্ধ হবেন।
অনেকে মনে করেন, সাংবাদিকেরা নিস্তেজ, অসামাজিক এবং আত্মপ্রেমেই মগ্ন থাকে। তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। তারা শহরের সবচেয়ে আনন্দদায়ক পার্টিতে, সিনেমার প্রিমিয়ারে যেতে পারে। তারা শহরের সেরা রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে পারে। একজন সাংবাদিককে অবশ্যই সৃজনশীল হতে হয়। জ্ঞানপূর্ণ এবং আকর্ষক গল্পগুলো তারা পাঠকের সামনে উপস্থাপন করে যা কিনা নিউজরুমের সীমার বাইরেও প্রসারিত হয়। একজন সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করার অন্যতম সুবিধা হলো সে আপনাকে সবচেয়ে স্নিগ্ধ উপায়ে মুগ্ধ করতে পারবে। সাংবাদিকরা বোকা এবং স্মার্টনেসের একটি নিখুঁত মিশ্রণ। বিশ্বের চারপাশে যা ঘটছে তার খোঁজ তারা স্বাভাবিকভাবেই রাখে। তাদের সঙ্গে কথোপকথন আকর্ষণীয়। কথা চালিয়ে গেলে তা আপনাকেও জ্ঞান বাড়াতে সাহায্য করবে, তাদের সঙ্গে কথা অবিরাম কথা বললেও আপনি বিরক্ত হবেন না।
একজন সাংবাদিককে অর্থ নয়, তাদের কাজের প্রতি অনুরাগই তাদের চালিত করে। যদি এটি অর্থ তৈরির বিষয়ে হতো, তবে তারা এই পেশায় থাকতো না। তারা তাদের পরিশ্রমের হিসাবে ততটা উপার্জন নাও করতে পারে, তবে তারা সময়কে বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারে। সাংবাদিকদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, তারা খুবই বিস্বস্ত। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রেকর্ডের বাইরে রাখা থেকে শুরু করে তারা অনেক কিছুই নিরাপদ ও গোপন রাখতে জানে। নিশ্চিন্ত থাকুন, আপনি যদি একজন সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করেন তবে আপনার বিশ্বাস ভঙ্গ হবে না এবং আপনার গোপনীয়তা সব সময় নিরাপদ থাকবে। এরা সময়সীমা এবং ভীষণ চাপের পরিবেশে কাজ করা তাদের অন্যতম দক্ষতা। সাংবাদিকরা মাল্টিটাস্কিংয়ে বিশেষজ্ঞ। তারা তাদের কাজ এবং তাদের সম্পর্কের মধ্যে পুরোপুরি ভারসাম্য রাখতে পারে। তারা সারাদিনের পরিশ্রমের পরেও সঙ্গীকে ভালোবাসা এবং যত্ন দিতে পিছপা হয় না।
সাংবাদিকদের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। তারা আপনাকে এক মিলিয়ন প্রশ্ন দিয়ে অতিষ্ঠ করবে না বা আপনি কীভাবে আপনার দিনের প্রতিটি মিনিট কাটিয়েছেন তা জানার দাবি করবে না। তারা আপনাকে স্পেস দেবে এবং বিনিময়ে একই আশা করবে। তারা ঠিক জানে যে কোনোকিছু সঠিকভাবে পেতে এবং কার্যকর করতে কী লাগে এবং তাদের ব্যক্তিগত জীবনের ক্ষেত্রেও একই আচরণ আশা করে। সাংবাদিকদের সবসময় মজার মজার গল্প থাকে। তারাও কিন্তু দারুণ শ্রোতা, তারা সত্যিকার অর্থে আপনার প্রতি আগ্রহ দেখাবে। তারা আপনার করা সামান্য ইঙ্গিতও ধরে ফেলতে পারদর্শী। সাংবাদিকরা প্রয়োজনে অন্যকে সাহায্য করার জন্য নিজের সামর্থ্যের বাইরেও যায়। এক্ষেত্রে অপরিচিত কেউ হলেও কোনো ব্যাপার না। সাংবাদিকদের হৃদয় বড় হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct