আপনজন ডেস্ক: সম্ভাব্য যুদ্ধের শঙ্কা এড়াতে ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি সম্মেলনের প্রস্তাব দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। ইউক্রেন সফরে গিয়ে বর্তমান সঙ্কট নিরসনে এগিয়ে আসতে চায় তুরস্ক। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক পরবর্তী যৌথ সংবাদ সম্মেলন শেষে বৃহস্পতিবার এ কথা জানান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। এর আগে দুই নেতা আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় নানা ইস্যুতে প্রায় তিন ঘণ্টা আলাপ করেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এমন প্রশ্নে এরদোগান বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের সংকট নিয়ে তুরস্ক একটি সামিটের আয়োজন করবে। দুই দেশের বিবদমান বিষয়গুলো সমাধানে আলোচনা হবে। বৈঠকে এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে বলে জানান এরদোগান। ‘ইউক্রেনের ভূখণ্ডগত সংহতি এবং সার্বভৌমত্বের পক্ষে তুরস্ক। এমনকি স্বাধীন ক্রিমিয়ার প্রতি সমর্থন রয়েছে তুরস্কের।’ তিনি আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যকার সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী মিনস্ক প্রটোকলের আওতায় ইউক্রেনের ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা বজায় রেখেই এই সংকটের সমাধান হবে। এরদোগান বলেন, তিনি এমন সময়ে ইউক্রেনের সফরে গেছেন যখন পূর্ব ইউরোপে সেনা মোতায়েন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য দায়ী করেছে রাশিয়া। পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো জোটের শক্তি বাড়াতে রোমানিয়াতে এক হাজার ও পোল্যান্ডে দু’হাজার সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনার পরেই ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি সম্মেলনের বিষয়ে এমন কূটনীতিক পদক্ষেপ নিয়েছেন এরদোগান।
এদিকে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়া তাদের এক লাখ সেনা সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এরপরেই ইউরোপের শক্তিশালী দু’দেশ জার্মানি ও ফ্রান্সের শীর্ষ নেতারা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সাক্ষাৎ করতে দেশটির রাজধানী মস্কোতে যাওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। ইউক্রেন ও রাশিয়ার সঙ্ঘাত নিরসনে তারা এ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। এদিকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সঙ্ঘাত নিরসনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানও কূটনীতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে দেখা করে তাকে পুতিনের সাথে শান্তি সম্মেলনের প্রস্তাব দিয়েছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে তা কাজে লাগিয়ে পূর্ব ইউরোপে শান্তি স্থাপন করতে চান এরদোগান। এছাড়া তিনি ইউক্রেন কর্তৃপক্ষকে শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে সমর্থন দিচ্ছেন। এদিকে এরদোগাননের এ কূটনীতিক প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরো বলেছেন, ইউক্রেনে শান্তি আনতে তিনি সবকিছু করতে প্রস্তুত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct