মঞ্জুর মোল্লা,নদিয়া,আপনজন: বাংলার আবাস যোজনা ঘর পেতে গেলে সরকারি আধিকারিককে ঘুষ দিতে হবে এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা নদীয়ার কৃষ্ণনগরে। অভিযোগ আবাস যোজনায় ঘর দেওয়ার বিনিময়ে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ এবার এক সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে। নদীয়ার কৃষ্ণনগর ঝিটকীপোতা এলাকার ঘটনা বাংলা আবাস যোজনার
ঘরের টাকা ঢুকলেও সেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল বিডিও অফিসের এক সরকারি কর্মচারী বিনয় বর্মণের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে কৃষ্ণনগর ঝিটকীপোতা এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা ছাপিয়া বিবি সেখ জানান ২০১৯-২০২০ সালে তাদের নামে বাড়ি মনজুর হয়েছিল। প্রায় দু বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দাদের বাংলা আবাস যোজনা ঘরের টাকা ঢুকেনি। এই বিষয়ে একাধিকবার বিডিও অফিসে দরবার করলেও কোন সুরাহা মেলেনি। উপরন্ত বলেতে গেলে হুমকি মুখে পড়তে বাংলা আবাস যোজনার উপভোক্তাদের প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি এই সরকারি আধিকারিকের জড়িত। ওই এলাকার বেশি অংশ বাড়িতে কারও টালির ঘরের চাল, ছাদ ভাঙা,কোথাও বা দেওয়াল খসে পড়ছে। এদের বেশিরভাগই মাটির তৈরি বাড়িঘর। অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র সীমার এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা বসবাস করে। টাকা চাইতে গেলে প্রত্যেক বাসিন্দাদের কাছ থেকে কুড়ি হাজার টাকা করে ঘুষ নেওয়ার কথা বলেন। এলাকাবাসীরা উপরমহলে লিখিত আবেদন অভিযোগ করলে আজ পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর। এর আগে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ এখন সেটা সরকারি আধিকারিক। কৃষ্ণনগর উত্তর সাংগঠনিক সভাপতি জেলা সভাপতি জয়ন্ত সাহা জানান এই ঘটনার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা সন্দীপ মজুমদার জানান আগে তৃণমূল নেতাকর্মীরা কাটমানি নিতো এখন আধিকারিকরা নিচ্ছে এটা নতুন কিছু নয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct