জৈদুল সেখ, কান্দি: সর্ব ভারতীয় স্তরে ডাক্তারি পরীক্ষা মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রথম কান্দি রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র অঙ্গন মন্ডল। কান্দি পেট্রোলপাম্প নিবাসী বাসিন্দা অঙ্গন মন্ডল বুধবার সর্ব ভারতীয় স্তরে রেজাল্ট প্রকাশ হয়েছে তাতে ৫৭০ রেঙ্ক করেছে প্রাপ্ত নম্বর ৭২০ মধ্যে ৬৮৬ নম্বর পেয়েছেন এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় সম্ভাব্য প্রথম স্থান অধিকার করেছেন অঙ্গন মন্ডল। উচ্চ মাধ্যমিকে এবছর ৪৮৫ নম্বর পেয়েছিলেন এবং তার এই সাফল্য খুশি কান্দি বাসী। মুর্শিদাবাদ জেলায় সম্ভাব্য প্রথম অঙ্গন মন্ডল ভবিষ্যতে বাইরে রাজ্যে ডাক্তারি নিয়ে পড়াশুনো করতে চাই শুধু তাই নয় সাধারণ মানুষের জন্য।
কার্ডিওলজি বা নিউরোলজি নিয়ে চিকিৎসা করতে চান।
রেজাল্ট প্রকাশের পরেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুভানুধায়ী ও সাধারণ মানুষ এসে শুভেচ্ছা বার্তা দিচ্ছেন অঙ্গন মন্ডলকে। পড়াশুনো পাশাপাশি ছবি আঁকতে যথেষ্ট পারদর্শী অঙ্গন মন্ডল। বাবা সুজন রঞ্জন মন্ডল পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ও মা কৃষ্ণা মন্ডল গৃহকর্তী। তার এই সাফল্য খুশি পরিবারের সদস্যরা । বাবা পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হলেও দিনরাত ছেলেল জন্য সময় দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। উচ্চ মাধ্যমিকে অঙ্ক, ফিজিক্স ও ক্যামিষ্ট্রি তে ৯৯ নম্বর পেয়েছিলেন উচ্চ মাধ্যমিকে। তবে শুধু সর্ব ভারতীয় ম্যাড্রাস আইআইটি, মুম্বই সিইবিএস (ভাবা অ্যাকোমেটিক পাওয়ার রিসার্চ) ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স কলকাতা সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে জাতীয় স্তরে মেডিক্যাল সাফল্য পর দিল্লি এইমসে পড়াশুনো করার ইচ্ছে আছে বলে জানান।
পশ্চিমবঙ্গ জযেন্ট এবং কেভিপিওয়াই তেও ভালো স্থান করেছে অঙ্গন । তবে লক্ষ্য ছিল একটাই, ‘নিট’ এ ভালো র্যাঙ্ক করে চিকিৎসক হওয়া। আর, স্বপ্ন ছিল এমস থেকেই এমবিবিএস পড়ার! সেই লক্ষ্যেই নিমগ্ন থেকে পড়াশোনা করেছে আদ্যন্ত মেধাবী ও মনোযোগী এই ছাত্র। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক বাবা তাঁকে উৎসাহ দিয়েছেন পড়াশোনার উপর নজর দিয়েছেন, পাশে থেকেছেন, ভালো রেজাল্ট করার জন্য যা যা ছেলের দরকার সব কিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।সময় আর সাহচর্য দিয়েছেন মা কৃষ্ণা মন্ডল।বাবা একবাক্যে স্বীকার করলেন, ছেলের এই সাফল্যে সর্বাধিক কৃতিত্ব প্রত্যেকেরই!এও বললেন, কয়েকজন গৃহ শিক্ষকের অবদান অনস্বীকার্য। ওকে আপাদমস্তক তৈরি করেছেন পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের গৃহ শিক্ষকরাই। বাবা,-মা’র অনুপ্রেরণা নিয়েই, একজন মানব দরদী চিকিৎসক হয়ে উঠতে চায় অঙ্গন। কান্দীর এই তেজস্বী ছেলের সেই স্বপ্নপূরণের আলোকে একদিন আলোকিত হবেই চিকিৎসা জগৎ, বলছেন এই শহরের সমগ্র শিক্ষা জগৎ।
আরও পড়ুন: