এহসানুল হক, বসিরহাট: এক বছর আগে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ঘোজাডাঙ্গা জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত দীর্ঘ ছয় কিলোমিটার রাস্তায় ছিল ব্যাপক ধুলো বালিতে ভরাছিল। সকাল হলেই ছোট ছোট বাচ্চাদের স্কুল যাওয়ার সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে হোত। সেই সমস্যা একেবারে মিটে গিয়েছে বলেই এলাকার মানুষের দাবি। পাশাপাশি সকাল থেকেই বহু ট্রাকের লাইন। অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে যেতে যেতেই মৃত্যুবরণ করত। এদিন গিয়ে দেখাগেল পুলিশের পাশাপাশি ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাজ করছে এলাকার শ’খানেক গাছা আখারপুর পঞ্চায়েতের ছেলেরা। এদিন ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত গিয়ে আরোও দেখা গেলো ইটিন্ডা পানিতর পঞ্চায়েতের একশো ছেলে ঝাড়ু দেওয়ার কাজে ব্যস্ত তারা, সকাল থেকে ছয় কিলোমিটার রাস্তা পরিষ্কারের কাজে হাত লাগিয়েছে তারা। কয়েক বছর আগে সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো যার বড়ো সমস্যা ধুলোর। পাশাপাশি এদিন ট্রাফিকের কাজ করছে এলাকার বহু যুবক ছেলেরা। কারণ সকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বহু গাড়ি যাতায়াত করে সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে। দেখভালের জন্য ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে তারা। এদিন ঘোজাডাঙা সিএনএফ সম্পাদক অচিন্তকুমার ঘোষ বলেন, ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তটা গ্রাম্য রাস্তা বলেই পরিচিত।
এখানকার সাধারণ মানুষ চলাফেরা করার জন্য পাশাপাশি যে বিদ্যালয় গুলো আছে, বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারত না, জেলা প্রশাসকের অফিস, আছে হসপিটাল ।যানজট এক্সপোর্ট ইনপোর্ট কারনে হয়।আজ গাছা ও ইটিন্ডা পঞ্চায়েত থেকে একশো ছেলে কাজ করছে ঝাড়ু দেওয়ার,তার ফলে ধুলোর হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে। যানজট হচ্ছে না, ফলে মানুষের চলাফেরাও সমস্যা হচ্ছে না। এই দুই পঞ্চায়েতের ভালো উদ্যোগ। অন্যদিকে শুল্ক দফতরের আধিকারিক প্রশান্ত গিরি বলেন, পঞ্চায়েতের কাজকে আমরা সাধুবাদ জানাই, কারণ যেভাবে রাস্তায় ধুলো উড়তো। ঝাড়ু দেওয়ার কারণে অনেকটাই ধুলোর হাত থেকে বাঁচতে পারছে মানুষ ।পাশাপাশি রাস্তায় রাস্তায় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগে খুব কষ্ট পেতে হতো এখন অনেকটাই মানুষের সুবিধা হচ্ছে।
পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে আমদানি যেসব পণ্যবাহী ট্রাক এদেশে ঢুকবে তাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটেশন, খালাসিদের শারীরিক পরীক্ষা করছে। তার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা নির্ধারিত সময়সূচি মেনে এই ব্যবস্থা করছেন। ঘোজাডাঙ্গা ক্লিয়ারেন্স এর পক্ষ থেকে ট্রাইভাগো হেলপারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটাইজার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct