‘কোনও এক গাঁয়ের বধূর কথা তোমায় শোনাই শোন, রূপকথা নয় সে নয়’...!!!
কিন্তু শুধু কি কোনও গাঁয়ের বধূই ‘রূপকথা’র মতো কিছুর জন্ম দিতে পারেন?
কে বলল, আর কেউ তা পারেন না?
মহাকাশে নতুন তারার নাম রাখা হয়েছে সচিন তেন্ডুলকরের নামে। কিন্তু যাঁর সমীকরণের (‘রায়চৌধুরী ইকোয়েশান’, প্রয়াত পদার্থবিদ অমল কুমার রায়চৌধুরী) হাত ধরে স্টিফেন হকিং আজ স্টিফেন হকিং হলেন, তিনি পথিকৃৎ বাঙালি বিজ্ঞানী হলেও, মহাকাশের অনন্ত রহস্যের খোঁজে তো এখনও বাঙালির নামটা উজ্জ্বল ভাবে খোদাই হল না!
কে বলল, হল না?
মহাকাশে অনন্ত রহস্যের খোঁজে পাকাপাকি ভাবে খোদাই হতে চলেছে এক বাঙালির নাম। এক বঙ্গনারীর নাম। যিনি এক জন দাপুটে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার। নাসার ‘কোল্ড অ্যাটম ল্যাবরেটরি’র প্রজেক্ট ম্যানেজার। অনিতা সেনগুপ্ত। মাত্র ৬ বছর বয়সে বাড়িতে সিরিয়াল ‘ডক্টর হু’ দেখে, মহাকাশ সম্পর্কে যাঁর আগ্রহের সূত্রপাত হয়। যাঁকে সামনে রেখে এ বার মহাকাশে শীতলতম জায়গা খোঁজার অভিযানে নামছে নাসা। যে অভিযান শুরু হবে আগামী বছরের অগস্টে। যখন পৃথিবীর প্রায় চারশো কিলোমিটার ওপরে থাকা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) শুরু হয়ে যাবে সেই অগ্নিপরীক্ষা। যেখানে পদার্থের পরমাণুগুলোর অবস্থাটা হবে ‘ধর্মেও আছি, জিরাফেও’ গোছের! যাকে বলে, ‘কোয়ান্টাম অবস্থা’। যে অবস্থায় কণার তরঙ্গ-ধর্ম দেখা যায়! তরঙ্গ বা ঢেউ যেমন ছড়িয়ে পড়ে এক সঙ্গে অনেকটা জায়গা জুড়ে, একটা ‘কোয়ান্টাম কণা’ও তেমনই অনেক জায়গায় বা অবস্থায় থাকতে পারে, একই সঙ্গে, একই সময়ে। তাকে ধরা-ছোঁয়ার জন্য বানাতে হবে ‘কোয়ান্টাম গ্যাস’।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct