এহসানুল হক, হিঙ্গলগঞ্জ: সুন্দরবন অঞ্চলের কয়েক হাজার বিঘা জমি নিম্নচাপের বর্ষা ফলে জলের তলায়। এইসময় গ্রাম অঞ্চলের মাঠের চাষিরা বীজতলা তৈরি করছিলেন। কিন্তু বেশ কয়েকদিন বাদে তারা জমিতে ধান রোপন করবেন বলে মনস্থির করেছিল। কিন্তু ভারী বৃষ্টির ফলে বীজতলা কয়েকদিন জলের তলায় থাকায় তা সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে চাষ সম্ভব জমিতে ফসল ফলানো। এই দিকে এক ফসলী ধানের জমি সুন্দরবনের সর্বত্রই তাই সেই চিন্তায় বেশকিছু চাষি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ।ঠিক সময়ে যদি ধান চাষ না করা যায় তাহলে এক বছর আর ধান চাষ করা সম্ভব হবে না। অভিজ্ঞ চাষিদের কথা শ্রাবণ মাসে বীজ ধান থেকে আর ধান পাতা তৈরি করা যায়না। তাহলে কি আবার এক বছর পরে ধান চাষ করতে হবে চাষিদের। তাহলে কি ভাবে একটা বছর সংসার ও খাওয়া চলবে।অন্যদিকে এখনো পর্যন্ত ঘরের নিচের উঠোনে জল থৈই থৈই করছে ।এবং মাঠের সাপ পোকামাকড় ঘরের ভিতরে এসে ঢুকেছে। আগে একরকম বর্ষা হলেই তা জল নিকাশের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু চাষিদের অভিযোগ যে সমস্ত জল সরানোর নিকাশি ব্যবস্থা ছিল তা বসতবাড়ি করেই জল যাবার আর পথ নেই। এর ফলে এই বিপত্তি দেখা দিয়েছে চাষিদের। তাই এই সমস্যা থেকে শিক্ষা নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের কাছে অনুরোধ দরিদ্র চাষিদের কথা মাথায় রেখে তাদের পাশে প্রশাসন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক । এই বিষয়ে হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষ পরিমল বিশ্বাস জানান যে সমস্ত চাষিদের ধানের বীজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাদের কথা মাথায় রেখে পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে সাহায্য করা যায় কিনা তা ভাবনা চিন্তা চলছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct