আপনজন ডেস্ক: বর্তমানে শুধু পুরুষরাই নন মহিলারাও ধূমপানে আসক্ত। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বজুড়ে যখন সিগারেট খাওয়ার গড় প্রবণতা কমছে। তবে বিশ্বে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে মহিলা ধূমপায়ীর সংখ্যা। সিগারেট খাওয়ার প্রতিযোগিতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরই আছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের নাম। করোনাকালে উদ্ভূত মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ সিগারেটের ব্যবহার বাড়িয়েছে, কেউ কেউ মহামারিতে ধূমপানও ছেড়ে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা করোনার শুরু থেকেই ধূমপায়ীদের সতর্ক করে আসছেন। ২০২০ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, ধূমপায়ীদের আইসিইউতে ভর্তির সম্ভাবনা ধূমপায়ীদের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি। অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে অনেক সময় ব্যক্তি মারাও যায়। নিকোটিন মহিলা-পুরুষ সবার শরীরের জন্যই ক্ষতিকর। চিকিৎসকেরা বলছেন, সর্বনাশা এ নেশায় আসক্ত হওয়ার প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। তবে মহিলাদের শরীরে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় প্রভাব ফেলে সিগারেট। জেনে নিন দীর্ঘদিন ধরে মহিলারা ধূমপানে আসক্ত থাকলে শরীরে কী ঘটে? প্রথমত, ভ্রূণ এবং শিশুর উপর প্রভাব পড়ে। মা যদি ধূমপায়ী হন তবে জন্মের সময় নবজাতকের সমস্যার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ধূমপানের কারণে ভ্রূণের ফুসফুস সঠিকভাবে বিকশিত হয় নাস গর্ভপাতের সম্ভাবনাও বেশি থাকে। ধূমপান এবং তামাক মহিলাদের জন্য অনেক স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে। ধূমপান মহিলাদের প্রি-মেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম লক্ষণগুলোর উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপায়ী মহিলাদের পিরিয়ডের সময় ব্যথা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। অধূমপায়ী মহিলাদের তুলনায় ধূমপায়ী মহিলাদের মধ্যে এ সমস্যা ২-৩ দিন স্থায়ী হয়। ধূমপানের ফলে কিছু রাসায়নিক মহিলার শরীরে প্রবেশ করে। যা খুবই বিপজ্জনক বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটি তাদের প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। এই রাসায়নিকগুলো ডিম্বস্ফোটনের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। এ ছাড়াও ডিম্বাণুতে ফ্যালোপিয়ান টিউবগুলোর মাধ্যমে জরায়ুতে চলাচলও হ্রাস করে। যার কারণে জরায়ুর বাইরে ভ্রূণের বিকাশ ঘটে। একে বলা হয় একটোপিক প্রেগন্যান্সি। এই ধরনের অবস্থা ভ্রূণের জন্য মারাত্মক প্রমাণিত হতে পারে। সিগারেটের প্যাকেটের গায়েও লেখা থাকে ‘ধুমপান ক্যান্সারের কারণ’। ফুসফুসের ক্যান্সার ধূমপানকারীদের মধ্যে খুব দ্রুত ঘটে। সিগারেটের ধোঁয়ায় থাকা অনেক রাসায়নিক ক্যান্সারের জন্য দায়ী বলে জানা যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct