বাবলু প্রামাণিক, বারুইপুর: দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়ে করোনার টিকার আকাল। রাতভর লাইন দিয়েও মিলছে না ভ্যাকসিন। ভাঙড়ের জিরেনগাছা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের টিকা কেন্দ্রে টিকা না পেয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। টিকা নেওয়ার জন্য কেউ কেউ রাত ২টো বা ৩টে থেকে লাইন দিচ্ছেন। তারপর দীর্ঘসময় লাইনে থেকেও মিলছে না টোকেন। এদিন ভ্যাকসিনেশন সেন্টারের সামনে উপস্থিতও হন কয়েকশো মানুষ। লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও মিলছে না ভ্যাকসিন। করোনা কালে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার ভাঙড়ের জিরেনগাছা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভ্যাকসিন না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ভ্যাকসিন দিতে আসা ব্যক্তিরা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। ঘটনাস্হলে পৌছায় কাশীপুর থানার পুলিশ। ভ্যাকসিন দিতে আসা ব্যাওতা গ্রামের গৃহবধূ স্বপ্না নস্কর বলেন, এক সপ্তাহ ধরে ভ্যাকসিন এর জন্য কাজ কর্ম ফেলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বসে থাকছি তাও ভ্যাকসিন পাচ্ছি না। নিউটাউনে সিকিউরিটির কাজ করা আলাউদ্দিন মোল্লা জানান, ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য কয়েক দিন দরে রাত থেকে লাইন দিচ্ছি তাও ভ্যাকসিন পাচ্ছি না। এদিকে ভ্যাকসিন না দিতে পারলে চাকরি তে যেতে পারছি না।এই ভাবে ভ্যাকসিন না পেলে চাকরি চলে যাবে।
শুধু ভাঙড়ে নয়, ভ্যাকসিন নিয়ে ভোগান্তি ছবি সর্বত্রই প্রায় একরকম। দ্বিতীয় ডোজ তো দূর অনেকের অভিযোগ, প্রথম ডোজও কার্যত অমিল। তার উপর আবার সামনে এসেছে ভ্যাকসিন দুর্নীতির মতো ঘটনাও।
কসবায় ভুয়ো আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগে আপাতত শ্রীঘরে দেবাঞ্জন দেব। সোনারপুরেও বেআইনি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পের আয়োজনে স্বাস্থ্যকর্মীকেই গ্রেপ্তার করা হয়। করোনাকে রুখতে টিকাকরণই একমাত্র হাতিয়ার বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। বিভিন্ন ক্ষেত্রে টিকাকরণ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও ভ্যাকসিন না মেলায় কার্যত দিশাহারা আমজনতা। যদিও আমজনতার ভোগান্তির জন্য কেন্দ্রকেই দুষছে রাজ্য সরকার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct