জৈদুল সেখ, লালবাগ: ‘যাকে ছবিতে পেয়ারা বিক্রি করতে দেখছেন। তিনি পেয়ারা বিক্রেতা নন, তিনি আমাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার’, হ্যাঁ এমনটাই পোস্ট গতকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। লালবাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকারকে সাধারণ পেয়ারা বিক্রেতায় ভূমিকায় দেখে হতবাক হয়েছে অনেকেই।
উল্লেখ্য, পুলিশ মানেই সাধারণ মানুষের কাছে ভয়। অনেক মানুষ আছেন পুলিশ দেখলেই চরম বিরক্ত বোধ করেন। কিন্তু এ কথাও প্রমাণিত যে এই পুলিশ প্রশাসন কেবলমাত্র আইন রক্ষা করেন তাই নয় মানবিকতার দিক থেকে সাধারণ মানুষ অনেক উপকৃত হয়ে থাকেন। লকডাইনে দুস্থদের পাশে থাকা কিংবা রক্তের সংকট মেটাতে এগিয়ে আসা এই রকম অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।
প্রসঙ্গত লালবাগের পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার বহরমপুরে থাকেন। তিনি শনিবার বেলা বারোটা নাগাদ বহরমপুরের লাল দিঘির কাছে বাজার করার উদ্যেশ্যে সাধারণত মানুষের পোশাকে ছিলেন এবং পেয়ারা ক্রয় করতে গিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থেকে হয়ে গেলেন সাধারণ পেয়ারা বিক্রেতা। প্রায় কুড়ি মিনিট পেয়ারা বিক্রি করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় গতকাল থেকেই সেই পোস্ট ভাইরাল হয়। এ বিষয়ে তন্ময় সরকার বলেন, ‘আমি বহরমপুরে থাকি, গতকাল বাজার করতে গিয়ে ছিলাম তারপর এক পেয়ারা বিক্রেতা বলেন দাদা দোকানটা একটু দেখিয়েন আমার খুব খিদে পেয়েছে, দুটো খাবার খেয়ে আসছি। যদিও পেয়ারা বিক্রেতা আমাকে চিনতে পারেনি। যেহেতু আমি সাধারণ পোশাকে ছিলাম। তারপর দেখি একের পর ক্রেতা পেয়ারা কিনতে দোকানে আসছে। তা আমি ভাবলাম তারা ঘুরে যাবে! তাই নিজেই পেয়ারা বিক্রি করতে লাগলাম!’
তারপর একের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ভাইরাল। পুলিশের মানবিক মুখ ফুটে উঠল মুর্শিদাবাদ জেলায়। অনেকেই মন্তব্য করে বলেছেন সিনেমাতে এমন ঘটনা দেখতে পায় তবে বাস্তবে তাও আবার আমাদের জেলাতে পুলিশের এমন মানবিক মুখ দেখে অনেক অনেক গর্ব হচ্ছে। স্যালুট স্যার। আপনি এভাবেই মানুষের পাশে থাকুন।
কিন্তু ওই পেয়ারা বিক্রেতার পরিচয় এখনও সামনে আসেনি। যদিও স্থানীয়রা বরছেন, প্রায় প্রতিদিন ওই বিক্রেতা পেয়ারা নিয়ে ওই নির্দিষ্ট স্থানেই থাকেন। তিনিও ঘুণাক্ষরে জানতে পারেননি যে, তিনি যাকে পেয়ারা পাহারা দিতে বলেছেন তিনি পুলিশের বড় অফিসার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct