আপনজন ডেস্ক: আগের তালিবান আর বর্তমান তালিবানদের মধ্যে মতাদর্শের ফারাক স্পষ্ট হয়ে উঠছে। মেয়েদেরকে স্কুলে যাওয়া নিষেধ থেকে শুরু করে রাজনতিতে অংশগ্রহণের ব্যাপারে আগে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তালিবান সরকার, এবার তার বদল ঘটছে। তালিবান মুখপাত্র সুহাইল শাহীন সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, তারা যদি আফগানিস্তানে সরকার গঠন করে তাহলে সে দেশের মেয়েরাও চাকরি করতে পারবে, স্কুলে যেতে পারবে এমনকি রাজনীতিতেও অংশ নিতে পারবে। তবে তাদেরকে অবশ্যই হিজাব অথবা স্কার্ফ পরিধান করতে হবে। সুহাইল শাহীন জানান, তালেবান নতুন নিয়ন্ত্রণকৃত এলাকাগুলোতে নারীদের উপস্থিতির অনুমতি রেখেই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব প্রতিষ্ঠান আগের মতো চলার অনুমতি দিয়েছে। সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তালেবান মুখপাত্র সুহাইল শাহীন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তালেবান কেবল তখনই অস্ত্র ত্যাগ করবে যখন কাবুলে একটি নতুন সরকার গঠিত হবে, যে সরকার আমাদের (তালেবানের) কাছ এবং আফগানিস্তানের সকল নাগরিকের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। অন্যথায় আফগানিস্তানে শান্তি ফিরবে না।
তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, তালেবান একচ্ছত্র ক্ষমতায় বিশ্বাসী না। কারণ, অতীতে যে সরকারই একচ্ছত্র ক্ষমতা ব্যবহার করেছে সে সরকার সফল হয়নি। এ কারণে আমরা আগের ফর্মুলায় সরকার গঠন করতে চাই না।
আফগান সরকারের সঙ্গে সংলাপ শুরুকে তিনি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন জানিয়ে বলেন, সরকার যুদ্ধবিরতি চায়। কিন্তু গনি সরকার ক্ষমতায় থাকতে যুদ্ধবিরতি মানে তালেবানের আত্মসমর্পণ।
এ সময় তিনি বলেন, কোনো যুদ্ধবিরতির পূর্বে আফগানিস্তানে অবশ্যই নতুন সরকার গঠন হতে হবে। এটা করলে আফগানিস্তানে কোনো যুদ্ধ থাকবে না।
তালেবানে হাইকমান্ডের আদেশ অমান্য করে কিছু তালেবান কমান্ডার নিপীড়নমূলক আচরণ করায় তাদেরকে তালেবানের সামরিক আদালতে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। যদিও কতজন এবং কোন প্রদেশে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে সেটা স্পষ্ট করেননি তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct