সেখ মহম্মদ ইমরান, কেশপুর: বর্ষাকাল এলেই পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালকে তুলনা করা হয় ইতালির ভেনিসের সঙ্গে। ভেনিস একশটার বেশি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত। রাস্তা বলতে একমাত্র জলপথ। কিন্তু ঘাটালে সারাবছর চলার জন্য অবশ্য রাস্তা রয়েছে। যে রাস্তা দিয়ে বাস, লরি, মোটর সাইকেল, সাইকেল, রিক্সা থেকে সব ধরণের যানবাহন চলে। কিন্তু বর্ষা এলে ভরসা একমাত্র নৌকা। ঘাটালে লক্ষাধিক মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামতে হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড এবং ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির ২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের অসংখ্য গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শহরের মধ্যেও চলাফেরা করতে হলে এখন ভরসা শুধু নৌকা। এমনকি, ঘরের ভেতরেও ঢুকে যাচ্ছে জল। ঘাটাল পৌরসভা ও সেচদপ্তরের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি নৌকা নামানো হয়েছে। জলের তলায় চলে গিয়েছে পানীয় জলের উৎস। ফলে বিভিন্ন জায়গায় পানীয়জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এদিকে ঘরের মধ্যে জল ঢুকে পড়ায় বহু জায়গাতেই মানুষকে দেখা গিয়েছে বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিতে। ছাদেই রান্নাবান্না করতে হচ্ছে মানুষকে।
ঘাটালের এই ভয়ংকর বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উপস্থিত হন সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক অজিত মাইতি , পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক ড.রশ্মি কমল। মঙ্গলবার দুপুরে সাংসদ দেব প্রথমে ঘাটাল ব্লকের মনসুকা চাতালে পৌঁছান। ওই চাতাল বন্যায় জলমগ্ন হওয়ায় নৌকায় চেপে চাতাল পার হয়ে পায়ে হেঁটে মনসুকা গ্রাম পঞ্চায়েতে যান। সেখানে বন্যা দুর্গত পরিবারের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct