মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া: জেলায় প্রায় প্রতিটি হাসপাতালে নতুন করে তৈরি হচ্ছে করোনা আইসোলেশন বেড। অন্যদিকে প্রতিষেধক টিকা প্রদান শেষ হয়েছে স্বাস্থ্য কর্মী পুলিশ প্রশাসন এবং বয়স্কদের। প্রতিষেধকের অনুপযুক্ত যোগানের ফলে পয়লা মে থেকে চালু হওয়ার কথা থাকলেও ১৮ বছর থেকে ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত জনসাধারণ এখনো রয়েছে অপেক্ষায় তবে বাকিদের দ্বিতীয় ডোজ প্রায় শেষের পথে, ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন সমস্ত সাংবাদিকদের টিকাকরণ ব্যবস্থা নদীয়া তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরে থেকে সমস্ত সাংবাদিক ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
জেলায় বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ গান নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে,কৃষ্ণনগর জেলা শক্তিনগর হাসপাতালে কোবির ওয়ার্ডের পিছনে অক্সিজেন প্লান্ট গড়ার কাজ চলছে দ্রুততার সাথে তোলা হবে তেহট্ট মহাকুমা হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই চারটি হাসপাতালের মধ্যে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে প্রতি দিন ১০০০ লিটার অক্সিজেন উৎপাদন করার লক্ষমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
আর বাকি তিন জায়গায় প্রতি মিনিটে ৫০০ লিটার অক্সিজেন উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আর টি পি সি আর,রেপিড টেস্টের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে।আবারও পূর্বের মতো আইসোলেশন বেড বা সারি ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে। কল্যাণী যে এন এম হাসপাতাল এবং তেহট্টতে ১০০ শয্যার ধরনের একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত করার কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে। চাকদহ দশটি বেডের,কৃষ্ণনগরের২৫ টি বেডের, নবদ্বীপে পনেরোটি বেডের, শান্তিপুরে দশটি বেডের ব্যবস্থা হয়ে রয়েছে। শান্তিপুর হাসপাতালে সুপারেন্টেন্ড তারক বর্মন জানান প্রাথমিকভাবে সাসপেক্ট রোগীরা ভর্তি থাকবেন এখানে, আর টি পি সি আর টেস্ট হওয়ার পর রিপোর্ট আসা পর্যন্ত। এরপর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পেয়ে গেলে,কোভিদ হাসপাতালে টান্সফার করা হবে, অন্যথায় সাধারণ জ্বরের চিকিৎসা করানো হবে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct