কুতুবউদ্দিন মোল্লা, তিলপি: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা এলাকার ধোসা চন্দনেশ্বর অঞ্চলের তিলপী, শ্যামনগর, গোবিন্দপুর, গ্রামে গরম পড়তে না পড়তেই শুরু হয়েছে তীব্র জলের সংকট। গত প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নলকূপ থেকে জল ওঠা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।এবার পুকুরের জলও শুকোতে শুরু করেছে। চরম সমস্যায় পড়েছেন সুন্দরবনের নদী সংলগ্ন এলাকার সমস্ত বাসিন্দারা। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের বিষয়টি নিয়ে ভাবার সময় নেই। ভোটের আশায় নানান প্রতিশ্রুতির কথা শুনেই চলেছেন গ্রামবাসীরা। এদিকে পানীয়জল না মেলায় ভোটাররা রাগে গুমরে গুমরে ফুঁসছেন।
সাধারণ মানুষের জল কষ্টের কথা শুনে ব্যথিত হয়েছেন। জয়নগর এক নম্বর ব্লক তিলপী গ্রামের শিক্ষক সুন্দরবন মহাবিদ্যালয়ের(কাকদ্বীপ) অধ্যাপক ড. শেখ মইদুল ইসলাম। অনেক নলকূপ অকেজো হয়ে গেছে, সাধারণ পরিবারগুলো জল আনতে গেলে এক কিলোমিটার অতিক্রম করেই জল আনতে হয়।গ্রামের মানুষের দাবি
পাশাপাশি চাষের জমি গুলোতে মিনি হাউস বসানোর কারণে এই সমস্যাগুলি দেখা দিচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে। তাই আমাদের জলের সমস্যা আমরা চাষ না করলে খেতে পাবোনা। এদিকে জলের সঙ্কট। এক এক করে সমস্ত নলকূপ গুলি জল না ওঠার কারণে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই এক কিলোমিটার দুর থেকে জল আনতে হচ্ছে এবং সেখানে এক থেকে একাধিক লাইন দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বলেন এলাকার মানুষজন। এছাড়া, ২০১১ সালে তিলপিতে জল ট্যাঙ্ক স্থাপিত হয়। জলের সংকট মেটাতে উদ্যোগ নেয় পশ্চিমবাংলা সরকার। তবে প্রথমে দু টাইম জল দিলেও এখন এক টাইমে জলপাই। তবে খুবই কম সময় জল দেয় । জানান এলাকার মানুষজন। পুরোপুরি জল কবে যে পাব সে আমাদের জানা নেই। জানান তিলপী গ্রামের বাসিন্দা মোজাম্মেল মোল্লা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct