সজিবুল ইসলাম, জলঙ্গি: রবিবার জলঙ্গি বিধান সভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক এর বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের সদস্য ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহ জেলা নেতৃত্ব কালিগঞ্জ বাজারের প্রার্থীর কুশপুতুল করে আগুন ধরিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। এদিন তাদের দাবি যে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি প্রার্থীকে পরিবর্তন না করা হয় তাহলে আমরা নির্দল প্রার্থী দিয়ে জিতিয়ে দেখাবো যে আমরা কতটা সংগঠন ক্ষমতা রাখি।
যদিও একইভাবে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার আগে একাধিক বার আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছে বিক্ষিপ্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে। এমনকি তারা জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে গণস্বাক্ষর করে বর্তমান প্রার্থীর বিরোধিতা করেছেন কিন্তু তাতেও রাজ্য নেতৃত্ব সায় দেয়নি। বর্তমান বিধায়ক অর্থাৎ বর্তমান প্রার্থীর উপর ভরসা করেছেনএমনকি তাকেই প্রার্থী করেছেন।
এদিন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মিলন আহেমদ বলেন, বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক তিনি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সঙ্গে গোপনে সম্পর্ক রাখছেন। কারণ তার হাত ধরে তার তৃণমূলে আসা। সেই কারণে আগামী দিনে তিনি বিজেপি দলে যোগদান করবেন। তাই তাকে জিতিয়ে কোনো লাভ হবে না। অন্য দিকে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ও বর্তমান জেলা কমিটির সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস করছি এবং মমতাকে ভালোবাসি। সেই জন্য এখনও দলের মধ্যে কোনো কিছু বলিনি। কিন্তু আমরা আর পারছি না। তাই এবার রাস্তায় নেমে আন্দোলনে নামলাম যাতে করে আমরা প্রমাণ করতে পারি যে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ছিলাম, আছি। তাই বর্তমান প্রার্থীকে বাদ দিয়ে যে কাউকে প্রার্থী করলেআমরা তাকে জেতানোর গ্যারেন্টি দেব। আমরা চেয়েছিলাম যে জেলা পরিষদের সদস্য সৈয়দ রাফিকা সুলতানাকে প্রার্থী করা হোক। এই বিষয়ে প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক বলেন যে যারা দলের মধ্যে থেকে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে পারে তারা কোনো দিন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হতে পারে না। এরা বিরোধীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আগামী দিনে বিজেপিকে সমর্থন করার জন্য দলের মধ্যে থেকে দলের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদেরকে প্রার্থী না করার আমার নামে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন। আমি লক ডাউন সময় থেকে সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম, এখনও আছি। মমতার যে সব কর্মসূচি দিয়েছেন সেই গুলো সব আমি পালন করেছি। কিন্তু যারা আজ এই ভাবে দলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন তাদের কে কোনো সময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি বলেও অভিযোগ করেন। এদিন উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য সৈয়দ রাফি কা সুলতানা ও ইকবাল আহমেদ, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মিলন আহেমদ, জেলা কমিটির সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ,তুহিন হোসেন সহ কর্মী সমর্থক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct