সজিবুল ইসলাম, জলঙ্গি: গত ২৯ শে জানুয়ারি ২০২০ সালে কেন্দ্র সরকারের জনবিরোধী আইন এনআরসি বিরোধী আন্দোলনকারীদের উপর নির্মমভাবে গুলি চালিয়েছিল এবং সালাউদ্দিন শেখ ও সাহেবনগর বিশ্বাসপাড়া জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম আনারুল বিশ্বাসকে হত্যা করে।তার প্রতিবাদে একটি বিশাল প্রতিবাদ ও স্মরণসভা করল ভারতীয় গণতান্ত্রিক নাগরিক মঞ্চ।শুক্রবার সাহেবনগর পঞ্চায়েত মাঠে অনুষ্ঠিত হলো এই প্রতিবাদ সভা। সভা মঞ্চ থেকে চার দফা দাবি তুলে ধরেন নাগরিক মঞ্চের নেতৃত্ব, তারা জানান, মৃত পরিবারকে অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। এনআরসি, এনপিআর, সিএএ আইন প্রত্যাহার করতে হবে। অবিলম্বে কৃষক আইন বাতিল করতে হবে। এদিনের এই সভায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন মানিক ফকির বলেন যে, বর্তমানে আমাদের নাগরিকত্ব নিয়ে বেশি ব্যস্ত হতে হচ্ছে ,কারণ দেশে কোনো কাজ দিতে পারছেন না কেন্দ্র-রাজ্য সরকার তাই এই ভাবে দেশে এন আর সি এন পি আর নিয়ে সাধারণ মানুষকে ব্যস্ত করে রেখেছেন।এখন আমাদের কে বাঁচার চেষ্টা করতে হবে। যে কোনো আন্দোলন করলেই দেশদ্রোহীর তকমা দিতে শুরু করছে বিজেপি সরকার।তিনি আরো বলেন যে দেশে যে ভাবে কৃষি বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন দেশের কৃষকরা তাদের আন্দোলনকে দমানোর চেষ্টা করছে মোদির সরকার ।এই সাহেব নগরে যে আন্দোলন চলছিল সেই আন্দোলন ছিল দেশে থাকার জন্য।,আর সেই আন্দোলনে এই ভাবে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছিল সত্যি খুব দুর্ভাগ্যের বিষয়। আমি প্রশাসনের কাছে আবেদন করবো যাতে করে দোষীরা খুব তাড়াতাড়ি সাজা পায়।এদিন বিভিন্ন আইনজীবীরা তাদের আইনি পরামর্শ দিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করেন।এমনকি যে মূল অভিযুক্ত এখনও গ্রপ্তার করা হয়নি তাকে যেনো খুব তাড়াতাড়ি গ্রেপ্তার করা হয়। সেই বিষয়ে পরামর্শ দেন যে,গোটা গ্রামের মানুষ একসঙ্গে লিখিত অভিযোগ করতে হবে পুলিশ সুপারের কাছে বলেও জানান।মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, কলকাতা বন্দিমুক্তি কমিটির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ছোটন দাস, মুম্বাই হাইকোর্ট সর্বভারতীয় ল্যয়ার কাউন্সিল এক্সিকিউটিভ মেম্বার অ্যাডভোকেট সোরাব হোসেন, এনআরসি, এনপিআর, সিএএ, বিরোধী আন্দোলনের নেতা মানিক ফকির, বহরমপুর বন্দিমুক্তি কমিটির রাজ্য সহ-সভাপতি তায়েদুল ইসলাম, মুর্শিদাবাদ এনআরসি বিরোধী সংহতি নেতা রাহুল চক্রবর্তী প্রমুখ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct