মহম্মদ নাজিম আক্তার: জটিল রোগে আক্রান্ত মা৷ বাবা মারা গিয়েছেন প্রায় সাত বছর আগে৷ দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারে কীভাবে মায়ের চিকিৎসা করাবেন তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না মেয়ে৷ এই পরিস্থিতে ব্লক অফিসে যোগাযোগ করেন তিনি৷ বিষয়টি জানতে পেরে উদ্যোগ নেয় ব্লক প্রশাসনও৷ মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবস্থা করে ওই পরিবারের পাশে দাঁড়াল ব্লক প্রশাসন৷
মালদহের চাঁচলের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের খিদিরপুর গ্রামের বাসিন্দা আরজিনা বিবি (৬০)৷ স্বামী মারা যান প্রায় সাত বছর আগে৷ আরজিনা বিবির বর্তমানে একমাত্র ভরসা মেয়ে মোমিনা খাতুন৷ মা-মেয়েতে কোনোরকমে দিন কাটছিল৷ কয়েকদিন আগে অসুস্থ হয়ে ডাক্তার দেখান আরজিনা বিবি৷ জানতে পারেন টিউমার হয়েছে তার৷ দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে কীভাবে চিকিৎসা হবে তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না তাঁরা৷ এই পরিস্থিতিতে ব্লক অফিসে যোগাযোগ করেন তাঁরা৷ অবশেষে কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে দিয়ে ওই পরিবারের পাশে দাঁড়াল ব্লক প্রশাসন৷
মোমিনা জানান, ডাক্তার দেখানোর পরে জানতে পারি মায়ের টিউমার হয়েছে, অপারেশন করতে হবে৷ কিন্তু আমাদের মতো দুস্থ পরিবারের অপারেশনের খরচ বহন করা সম্ভব নয়৷ চলতি মাসের ৭ তারিখ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন করি৷ বিডিও সাহেব বিষয়টি জানতে পেরে আমাদের কার্ড দ্রুত পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন৷ আজ বিডিও সাহেব আমাদের হাতে কার্ড তুলে দিয়েছেন৷ আশা করি দ্রুত চিকিৎসা পরিসেবা পাব৷
বিডিও সমীরণ বিশ্বাস জানান, “আমরা দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে দুস্থ পরিবারকে খুব সহজেই চিকিৎসা পরিসেবা তুলে দিতে পারছি৷ আমি যখনই জানতে পারি উনি একটি ব্যধিতে আক্রান্ত তখনই আমরা চেষ্টা করি ওনার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটা যেন দ্রুত হয়ে যায়৷ আজ উনি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে পেয়েছেন৷ এই কার্ড হাতে পাওয়ায় আশাকরি ওনাদের যথেষ্ট সাহায্য হবে৷”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct