আপনজন ডেস্ক : বড়দের চেয়ে শিশুর ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের লক্ষণগুলো কিছুটা আলাদা। তাদের মধ্যে সংক্রমণ কম গুরুতরই নয়, লক্ষণগুলোও ব্যতিক্রম হতে পারে। শিশুর বাড়ির বাইরে বের হওয়া কিংবা স্কুল খুলে গেলে সেখানে যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ইংল্যান্ডের গবেষকদের একটি দল একটি যৌথ সমীক্ষায় করোনা আক্রান্ত কমপক্ষে ২০০ শিশুর আচরণ এবং লক্ষণ নিয়ে গবেষণা করেছে। এই গ্রুপের এক তৃতীয়াংশ শিশু অ্যাসিম্পটোমেটিক, যার অর্থ তাদের ক্ষেত্রে ভাইরাল সংক্রমণের কোনো সাধারণ লক্ষণ দেখা যায়নি। এই গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, অ্যাসিম্পটোমেটিক শিশু দীর্ঘসময় ধরে এই ভাইরাসে সংক্রমিত থাকতে পারে, এমনকী তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে একইরকম সংক্রমিত থাকতে পারে। কয়েক মাস আগে বিদ্যালয় পুনরায় চালু হওয়ার পরে কোরিয়ার বাইরে করা একটি বিস্তৃত বিশ্লেষণেও একই বিষয় দেখা গিয়েছে।শিশুরও সংক্রমণের সুপারস্ট্রেডার হিসাবে কাজ করতে পারে, যা আশেপাশের মানুষের মধ্যে সংক্রমণের ক্ষমতাকে বোঝায়। তবে, শিশুদের বাকি অংশ, যাদের ক্ষেত্রে উপসর্গগুলো দেখা যায়, তাদের রোগের লক্ষণ বড়দের মতো না-ও হতে পারে। শিশুর ক্ষেত্রে সাধারণ যে লক্ষণগুলো দেখা যায়, যে শিশুরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল তাদের ক্ষেত্রে বিশেষত তিনটি লক্ষণ দেখা যায়। আশ্চর্যের বিষয়টি হলো গলাব্যথা বা কাশি করোনা সাধারণ লক্ষণ হলেও তা শিশুদের মধ্যে এতটা প্রচলিত নয়। জেনে নিন শিশুর ক্ষেত্রে সবচেয়ে সাধারণ তিনটি লক্ষণ সম্পর্কে- প্রথমে হালকা জ্বর থাকবে। শিশুদের ক্লান্তি থাকবে। এছাড়া তাদের মাথা ব্যথা থাকবে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শিশুদের একটি অংশ নাক বন্ধ এবং গলাব্যথা ছাড়াই গন্ধ এবং স্বাদ চলে যাওয়ার সমস্যায় ভুগেছে। অন্যান্য লক্ষণ যেমন ডায়রিয়া, শরীরের ব্যথা, ক্ষুধা হ্রাস মোটামুটি সাধারণ ছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct