আপনজন ডেস্ক: শনিবার দুর্গাপুর ব্যারেজের লকগেট ভেঙ্গে বিপত্তির ঘটনা রীতিমত চিন্তায় ফেলেছে রাজ্যবাসীকে। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দামোদরের লক গেট মেরামতের কাজ ঠিক করে জল সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে না। শুধু মেজিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পেই নয় বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হবে ডিভিসির দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশনেও। এই দুই বিদ্যুৎ প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা তিন হাজার মেগাওয়াটের বেশি। ফলে ৪৮ ঘন্টার পর জল সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে দেশের যে সব এলাকায় ডিভিসি বিদ্যুৎ-এর যোগান দেয় সেখানে ঘাটতি দেখা দেবে। মেজিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পের ডিজিএম প্রবীর চাঁদ বলেন এমটিপিএসে দুটি রিজার্ভার রয়েছে।জলধারন ক্ষমতা ১৫ লক্ষ কিউবিক মিটার ।শনিবার দুপুর পর্যন্ত যতটা সম্ভব ইনটেক পাম্প হাইস থেকে জল ভরে নেওয়া হয়েছে। তাতে দুদিন মেজিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্প সুরক্ষিত। এখানে ৮ টি ইউনিট চালাতে দৈনিক দেড় লাখ কিউবিক মিটার জল প্রয়োজন ।এছাড়াও ডিভিসির বাসিন্দাদের পানীয় জলের সরবরাহ করতে হয়। আমরা মাইকিং করে জল খরচ কমানোর নির্দেশ দিয়ে রেখেছি। তিনি বলেন শুনেছি লক গেট মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। কাজ শেষ হলেই ডিভিসি আপার ভ্যালির মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু করবে। কিন্তু ২০১৭ সালে ১ নং লক গেট ভেঙে পড়ায় ৫ দিন সময় লেগেছিল এবার দু’দিনের বেশি সময় লাগলে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। এখন দেখার কখন ব্যারেজের লকগেট পুনঃনির্মাণ করে সমস্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct