সাদ্দাম হোসেন, জলপাইগুড়ি: পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী অর্থাৎ বাড়ির বড় ছেলে সিকিমে আর্মি পোর্টারে কাজে গিয়ে নিখোঁজ! ক’দিন ধরে পরিবারের লোকেরা হাজারবার ফোন করলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। আর কোনো উপায় খুজে না পেয়ে ধূপগুড়ি থানায় নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার লিখিত অভিযোগ জানালেন পরিবার। তাহলে কি সিকিমে মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি ও হড়পা বানের মুখে পড়েছিল জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির যুবক নিখিল সরকার। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দু-মাস আগে সিকিমের লুকরিপে আর্মির ক্যাম্পে চুক্তিভিত্তিক পোর্টারের কাজে যোগদান করেন নিখিল। পাহাড়ি এলাকায় থাকার কারণে পরিবারের সাথে তেমন ফোনেও কথা হতো না। কারণ সেখানে নেটওয়ার্ক পরিষেবা ঠিকঠাক মেলেনা। গত ২৯শে সেপ্টেম্বর নিখিলের সাথে শেষ বার কথা বলেন পরিবারের সদস্যরা। কাজের চাপ থাকায় নিখিল বাড়িতে বলেছিল আমি যখন ফোন করবো তখন কথা হবে তাছাড়া কথা হবে না। তাই বাড়ির লোকেরা নিখিলের ফোনের অপেক্ষায় থাকতো! কিন্তু মঙ্গলবারের বন্যার পর থেকে আর কোন যোগাযোগ হয়নি পরিবারের সাথে। পরিবারের লোকেরা সিকিমের প্রাকৃতিক বিপর্যয়, মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি ও হড়পা বানের কথা সামাজিক মাধ্যম ও টিভির খবরের মারফতে জানতে পারেন পরিবারের লোকেরা।
বুধবার সকাল থেকেই পরিবারের সদস্যরা নিখিলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কিন্তু কোনভাবেই যোগাযোগ করতে পারেনি। সিকিমের প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। এরপর নিখিলের বাবা নৃপেন্দ্র চন্দ্র সরকার ছেলের সন্ধানে শুক্রবার ধূপগুড়ি থানায় লিখিতভাবে নিখোঁজ অভিযোগ জমা করে। এখনো পর্যন্ত ঘরের ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন যুবকের বাবা মা, ভাই, বোন। দুশ্চিন্তার ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। সবাই নিখিলের সাথে যোগাযোগের অপেক্ষায় আছন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct