আপনজন ডেস্ক: ভারি কোনো কাজ করলে কিংবা দীর্ঘক্ষণ একই ভঙ্গিমায় বসে বা শুয়ে থাকার কারণেও হতে পারে পিঠে ব্যথা। যদিও পিঠে ব্যথা মোটেও স্বাভাবিক বিষয় নয়। পিঠে ব্যথা নিয়ে অনেকেই দীর্ঘদিন কষ্ট ভোগ করেন। অনেকেই আবার ব্যথা সহ্য করতে না পেরে মুঠো মুঠো পেইনকিলার খান। এতে সাময়িক সময়ের জন্য ব্যথা কমলেও কিন্তু শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। তার চেয়ে বরং ভরসা রাখুন ঘরোয়া উপায়ে। মুহূর্তেই পিঠের ব্যথা কমাতে পারেন একাধিক উপায়ে। পিঠে ব্যথা সারাতে ফুট ম্যাসাজ করুন। পায়ের সঙ্গে মেরুদণ্ডের যোগসূত্র আছে। এ কারণে কিছুক্ষণ পা ম্যাসাজ করলে পিঠের ব্যথা উপশম হবে। এজন্য পায়ের তলায় আঙুলের ডগা দিয়ে কিছুক্ষণ মালিশ করলে পিঠের স্নায়ুতে রক্ত প্রবাহ উন্নত হবে ও ব্যথাও কমবে।
প্রায়ই পিঠে ব্যথার সমস্যায় ভোগেন, তাহলে খাদ্যতালিকায় কিছু অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার যোগ করুন। এক্ষেত্রে হলুদ দুধ খুবই উপকারী। হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি আর্থ্রাইটিক বৈশিষ্ট্য পিঠের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। এজন্য এক গ্লাস হালকা গরম দুধে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে পান করুন। ঘুমের মধ্যেই অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগ শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে কাজ শুরু করবে। পিঠে ব্যথা করলে যত দ্রুত সম্ভব হালকা গরম জলে স্নান করুন। এতে মানসিক ও শারীরিক চাপ কমবে ও আপনি সতেজ বোধ করবেন। সবচেয়ে ভালো হয় ঘুমানোর আগে হালকা গরম জলে স্নান করা। এতে পেশি ও জয়েন্টে রক্ত প্রবাহ বাড়ে। অনেক সময় ঘুমের অভাব ও মানসিক চাপের কারণেও পিঠে ব্যথা হতে পারে। ঘুমানোর মাধ্যমে শরীরের টিস্যুগুলো পুনরুদ্ধার হয়। এজন্য দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। এক কাপ গরম কফি ছাড়া একটি দিনও কল্পনা করা অনেকের জন্যই কঠিন। তবুও সুস্থ থাকতে অতিরিক্ত ক্যাফেইন আসক্তি কাটাতে হবে। আপনি যদি পিঠের ব্যথায় ভুগেন, তাহলে কম কফি পান করুন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct