আপনজন ডেস্ক: এপ্রিলে মূল্যস্ফীতির সামনে পড়ে জোর ধাক্কা খেতে চলেছে সাধারণ মানুষ। খাদ্যপণ্য থেকে তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি আট বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) ভিত্তিক খুচরা মূল্যস্ফীতি রেকর্ড হারে বেড়েছে। এর ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ব্যাপকহারে বেড়ে যাবে।
এপ্রিল ২০২২-এ ভারতের উপভোক্তা মূল্যস্ফীতি গত ৮ বছরে সর্বোচ্চ ৭.৭৯%-এ পৌঁছেছে । এই নিয়ে টানা ৪ মাস রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৬%-এর কাম্য উর্ধ্বসীমা লঙ্ঘন হয়েছে। গ্রামীণ ভারতে সামগ্রিকভাবে খুচরো বাজারে ৮.৩৮% দাম বেড়েছে। অন্যদিকে শহরাঞ্চলে ৭.০৯% বেড়েছে। শহরাঞ্চলে খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির হারও গ্রামের তুলনায় কম। শহরে ৮.০৯%-এর তুলনায় গ্রামাঞ্চলে খাদ্যের দাম ৮.৫০% বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চ মাসে খুচরা মূল্যস্ফীতি ৬.৯৫% বেড়েছে। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে সেটি ৬.০৭% বেড়েছিল। সরকারের বেছে নেওয়া, দেশের ১,১১৪ টি শহুরে বাজার এবং ১,১৮১ টি গ্রাম থেকে দরদামের তথ্য সংগ্রহ করে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপ করা হয়। এই পরিসংখ্যান জনগণের আয় এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধির উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
২০১৪ সালের মে মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮.৩২%। টানা চতুর্থ মাসে মূল্যস্ফীতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সীমা অতিক্রম করেছে, যখন মুদ্রাস্ফীতির হার আরবিঅইয়ের ঊর্ধ্ব সীমা ৬% অতিক্রম করেছে। খুচরা মূল্যস্ফীতি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৬.০৭%, জানুয়ারিতে ৬.০১% এবং মার্চ মাসে ৬.৯৫% রেকর্ড করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, প্রায় ২৯৯ টি আইটেম রয়েছে, যার দামের ভিত্তিতে খুচরা মূল্যস্ফীতির হার নির্ধারণ করা হয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আর্থিক এবং ঋণ সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণের জন্য খুচরা মূল্যস্ফীতিকে প্রধান মান হিসাবে বিবেচনা করে, পাইকারি মূল্য নয়। ডব্লিউপিআই ও সিপিঅাই একে অপরকে প্রভাবিত করে।
এইভাবে ডব্লিউপিআই বাড়বে, তাই সিপিআই বাড়বে। খুচরা মূল্যস্ফীতির হার কিভাবে নির্ধারণ করা হয়? অপরিশোধিত তেল, দ্রব্যমূল্য, উৎপাদন খরচ ছাড়াও আরও অনেক বিষয় রয়েছে যা খুচরা মূল্যস্ফীতির হার নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রায় ২৯৯ টি আইটেম রয়েছে, যার দামের ভিত্তিতে খুচরা মূল্যস্ফীতির হার নির্ধারণ করা হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct