আপনজন ডেস্ক: মোহাম্মদ সালাহ তো বটেই, এই ম্যাচের পর মিসরীয়রা নায়ক পেলেন আরও একজন। তিনি মোহাম্মদ আবু গাবাল ‘গাবালস্কি’। সালাহর সঙ্গে এই গাবালস্কির বীরত্ব মিলিয়ে মিসর উঠে গেল আফ্রিকান কাপ অব নেশনসের (আফকন) কোয়ার্টার ফাইনালে। পেনাল্টি শুটআউটে আইভরি কোস্টকে ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টারে উঠেছে মিসর। একটা পেনাল্টি দুর্দান্তভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছেন গাবালস্কি, আর ম্যাচের ফলাফল–নির্ধারণী শেষ পেনাল্টি থেকে গোল করেছেন মোহাম্মদ সালাহ। আগামী রোববার কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষে খেলতে নামবে সাতবারের আফকনজয়ীরা। দুই অর্ধ তো বটেই, অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও গোল করতে পারেনি দুই দল। আইভরি কোস্টের সেন্টারব্যাক, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা এরিক বাইয়ি গোটা ম্যাচ দুর্দান্ত খেলেছেন, সালাহদের রেখেছেন গোলহীন। কিন্তু পেনাল্টি শুটআউটে এই বাইয়ির দুর্বল শটই আটকে দেন গাবালস্কি। শেষের ওই ব্যর্থতাই বড় হয়ে দেখা দিল বাইয়ির কাছে। প্রথমার্ধে গোল করার অন্তত তিনটা ভালো সুযোগ পেয়েছিল মিসর। মোহাম্মদ সালাহর দুটি সুযোগ ঠেকিয়ে দেন আইভরিয়ান গোলকিপার বাদরে আলী সাঙ্গারে। ওদিকে ওমর মারমুশের একটি শট লাগে ক্রসবারে। আইভরিয়ান মিডফিল্ডার ইব্রাহিম সাঙ্গারের একটা শটও আটকে দেন মিসরের মূল গোলকিপার এল শেনাউই। দ্বিতীয়ার্ধে আমর আল সোলাইয়া আর অ্যাস্টন ভিলার উইঙ্গার ত্রেজেগে সুযোগ পেলেও গোল হয়নি। সুযোগ পেয়েছিল আইভরি কোস্টও, তবে সেবাস্তিয়েন আলের, সাঙ্গারে আর উইলফ্রায়েড জাহার প্রচেষ্টাগুলো একে একে ব্যর্থ করে দেন শেনাউই। পায়ের চোটে পড়ে এই এল শেনাউইর জায়গায় ৮৮ মিনিটে মাঠে নামেন গাবালস্কি। পেনাল্টি শুটআউটে সালাহর পাশাপাশি মিসরের হয়ে গোল করেন জিজো, আমর আল সুলাইয়া, ওমর কামাল, মোহাম্মদ আবদুলমোমেন। ওদিকে বাইয়ি মিস করলেও আইভরিয়ানদের হয়ে গোল করেন বার্নলির ফরোয়ার্ড ম্যাক্সওয়েল কর্নেত, জাহা, সাঙ্গারে ও নিকোলাস পেপে। শেষমেশ সালাহ-গাবালস্কির বীরত্বেই পরের রাউন্ডে উঠে গেল মিসর।যদি রোববারের আগে শেনাউই সুস্থ হতে না পারেন, মরক্কোর বিপক্ষে কোয়ার্টারেও দেখা যাবে গাবালস্কিকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct