কুতুবউদ্দিন মোল্লা,ক্যানিং,আপনজন: দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং থানার অন্তর্গত শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার তালদি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় থাকা এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে মৃত্যুর হাত থেকে প্রাণে বাঁচালেন স্থানীয় যুবকরা। মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার নাম দময়ন্তী প্রামাণিক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বছর ষাট বয়সের মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার বাড়ি তালদির কৃষ্ণকালি কলোনী এলাকায়। তিনি কাকদ্বীপ থানার নিশ্চিন্তপুর এলাকার গাজী মহলে বাসিন্দা ছিলেন।বিগত ১১ বছর আগে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর। পরিবারের বাকি সদস্যদের কে নিয়ে চলে আসেন তালদি এলাকায়।পরিবারের দাবী স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে ওই বৃদ্ধা মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।
পরিবারের তরফ থেকে ওই ভারসাম্যহীন মহিলাকেও চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জায়গা নিয়ে গেলেও সুস্থ করতে পারেননি। মাঝে মধ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অন্যত্র চলেও যায় ওই বৃদ্ধা। পরে ফিরে ও আসেন।বুধবার সন্ধ্যায় পরিবারের অলক্ষ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন তিনি। তালদি স্টেশনের রেললাইনে শুয়ে পড়েছিলেন আত্মহত্যার জন্য। সেই মুহূর্তে ডাউন শিয়ালদহ-ক্যানিং লোকাল হর্ণ দিয়ে তালদি ষ্টেশনে আসছিল।কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মৃত্যু হত মহিলার। সেই মুহূর্তে রেললাইনে শুয়ে থাকা মহিলা কে দেখতে পায় স্থানীয় যুবক সুদীপ দাস, রাম দেবনাথ তাঁরা তাঁদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করে ওই ভারসাম্যহীন মহিলাকে।বৃদ্ধাকে উদ্ধারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তাঁরা। বৃদ্ধার একটাই কথা আমার আগুন বাণ মেরেছে,আমার শরীর পুড়ে যাচ্ছে।
বৃদ্ধা যে মানসিক ভারসাম্যহীন তা ওই বৃদ্ধার কথায় পরিষ্কার হতেই বৃদ্ধার বাড়ির খোঁজ খবর শুরু করেন উদ্ধার কর্তারা। এরপর বৃদ্ধার মেয়ে মামনি হালদার,বৌমা নিমু প্রামাণিকরা খবর পেয়ে উদ্ধার কর্তা তালদির মহিলা এবং যুবকদের সাথে যোগাযোগ করেন।তাঁদের হাতে বৃদ্ধাকে অক্ষত অবস্থায় তুলেদেন। তবে মানসিক ভারসাম্যহীন পরিবারের তরফ থেকে তার মাকে বাঁচাবার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct