নিজস্ব প্রতিবেদক,হলদিয়া,আপনজন: জরুরি কাজকর্মের জন্য পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করলেন হোড়খালী অঞ্চলের বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি,ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে পঞ্চায়েত অফিসের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অফিস খোলা থাকলেও প্রধানের দেখা পাওয়া যায় না,কর্মীদের তত্ত্বাবোধনে খোলা এবং বন্ধ করা হয় অফিস,এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ অঞ্চলের সেক্রেটারি হানিফ বাবু,হোড়খালী অঞ্চলের বাসিন্দাদের অভিযোগ,এই অঞ্চলে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে নিময়কানুন বলতে প্রায় কিছুই নেই। তাঁদের অনেকেই সকাল সকাল অফিসে পৌঁছলেও কর্মীদের দেখা পাওয়া যায় না। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর অফিস খুলতেই হুড়মুড়িয়ে তাতে ঢুকে প়ড়েন এলাকার বাসিন্দারা।কেউ এসেছেন শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শংসাপত্র নিতে। অনেকে আবার স্কুলের বিভিন্ন কাজ নিয়ে এসেছেন। তবে একসঙ্গে অনেক কাজ জমে যাওয়ায় ভিড়ে ভিড়াক্কার অফিসঘর। অনেকের সঙ্গে কর্মীদের বচসা বেধে যায়। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি,এটি নিত্য দিনের ঘটনা।অভিযোগ, ‘’অফিসের কর্মীদের কাছে আম জনতার সময়ের কোনও মূল্যই নেই। বিষয়টি সুতাহাটার বিডিও সাহেবের দেখা উচিত।’পঞ্চায়েত অফিসের নির্মাণ সহায়ক কৃপাসিন্ধু সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে পাওয়া যাইনি। অপর দিকে অঞ্চলের উন্নয়ন ফি বাবদ একাধিক সংশাপত্রের বিনিময়ে ১০থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত ফি নিচ্ছে,ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন অসহায় নিত্য খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। পঞ্চায়েত প্রধান করবী কালসা ঘটা করে নোটিশ জারিকরে বাধ্যতামূলক করেছে এই ফি। এক পঞ্চায়েত সদস্য বলেন প্রধান আলোচনা ছাড়াই ইচ্ছামতো করছে।এর প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপির অভিযোগ উন্নয়ন ফি বাবদ তৃণমূল তোলা তুলছে। এসব বিষয় নিয়ে প্রধানকে ফোন করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct