এহসানুল হক, বসিরহাট,আপনজন: বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এশিয়ার দ্বিতীয়তম স্থলবন্দর ঘোজাডাঙা সীমান্ত। এই সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন আমদানি-রপ্তানি মিলিয়ে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করে। করোনা বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টের উদ্যোগে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘোজাডাঙ্গায় বাংলাদেশ থেকে আসা সমস্ত গাড়িগুলোকে ভারতের সীমান্তে প্রবেশের আগেই, করোনাকে সামনে রেখে চেকিং করা হচ্ছে, থার্মাল চেকিং হচ্ছে, এবং হাতের স্যানিটাইজ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে আগত যেসব মানুষরা ভারতের ঢুকছেন তাদেরকে করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে। করানো হচ্ছে থার্মাল চেকিং। ওমিক্রন সতর্কতায় একদিকে ওপার বাংলা থেকে আসা বিভিন্ন পর্যটকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে স্বাস্থ্যকর্মীরা। তারপর করোনা পজিটিভ থাকলে তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কোয়ারেন্টাইনে। এদিন ঢাকার বাসিন্দা গাড়িচালক আজিজ উদ্দিন বলেন, আমি ঢাকা থেকে গাড়ি নিয়ে এসেছি, ভারতে ঢোকার আগেই চেকপোষ্টে আমাকে থার্মাল দিয়ে চেক করা হল, আমার গাড়িকে স্যানিটাইজ করা হলো, তারপর ভারতে ঢোকার অনুমতি মিলছে, সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তারজন্য এই ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। স্বাস্থ্য পরিষেবা এখানে যথেষ্ট ভালো। সমস্ত বিষয়ে কড়া নজরদারি করা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা। এদিন ঘোজাডাঙা কাস্টমস ক্লিয়ারিং ফরওয়ার্ডিং এজেন্টের সম্পাদক সঞ্জীব মন্ডল ওরফে ভুট্টা বলেন, আমরা প্রত্যেক দিন বাংলাদেশ থেকে আগত যেসব মালবাহী গাড়ি ভারতে প্রবেশ করছে সেই সব গাড়িগুলোকে প্রথমে স্যানিটাইজার করা হচ্ছে। তাদের থার্মাল চেকিং, হাতে স্যানিটাইজার করে ভিতরে ঢুকানো হচ্ছে ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct