জয়প্রকাশ কুইরি, পুরুলিয়া: করোনার জন্য বরাত কমেছে আগেই আর এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন শিল্পী পাওয়ার সমস্যা। নতুন প্রজন্ম গ্ল্যামার জগতে বুঁদ। ফলে ছৌ নাচ নিয়ে হতাশায় ভুগছেন শিল্পীরা। আগামী দিনে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত তারা।
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান, প্রজাতন্ত্র দিবসের এবং সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছৌ নাচ বাংলার মুখ হয়ে উঠলেও এখনো পর্যন্ত অর্থনৈতিক ভাবে ছৌ শিল্পীরা যে তিমিরে ছিলেন সেই তিমিরেই থমকে রয়েছেন। এমন অভিযোগ তুলেছেন চড়িদা গম্ভীর সিং মুড়ার স্মৃতিতে গঠিত একাডেমির শিল্পীরা।
তাদের অভিযোগ ছৌ নাচের মূল আয়ের উৎস নাচের আসর করা। কিন্তু প্রতিটি ছৌ দলেরই এখন আসর সংখ্যা কমে গিয়েছে। অন্যদিকে ছৌ নাচের মুখোশ ,পোশাক ও বাদ্য যন্ত্র প্রভৃতি সমস্ত কিছুর দাম বেড়ে গিয়েছে। এবছর গম্ভীর সিং মুড়ার ছৌ একাডেমি মাত্র কয়েকটা নাচের আসর করতে পেরেছিলো বলে জানা যায়। এই আসর গুলি থেকে যা আয় হয়েছে তাতে শিল্পীদের সারা বছরের খরচ পোষায় না ফলে অনেক শিল্পী এখন এই শিল্প কার্য ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশার দিকে ঝুঁকেছেন। একাডেমি থেকে জানা গিয়েছে গম্ভীর সিং মুড়ার সহযোগী শিল্পীরা এখন মাসিক ভাতা পান ১০০০ টাকা। সেই টাকা দিয়ে শিল্পীরা সংসার চালাতে পারে না। শিল্পীর বরাত না পেলে শিল্পীর কোনো লাভ নেই। একাডেমি শিল্পীরা জানিয়েছেন, ছৌ নাচের মুখোশ এখন বিভিন্ন আকৃতি নিয়ে ঘর সাজানোর জিনিসে পরিণত হয়েছে।
মুখোশ শিল্পের প্রতি মানুষের আগ্রহ তৈরী হলেও ছৌ নাচের প্রতি সেভাবে আগ্রহ গড়ে ওঠে নি। এমন ভাবে চললে আগামী দিনে পুরুলিয়ার ছৌ নাচের দলের সংখ্যা কমবে বলে আশঙ্কা শিল্পীদের।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct