আপনজন ডেস্ক: স্মার্ট ফোনের উপর ভর করে আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাসের সূচনা হয়েছিল করোনা সংক্রমণের কারণে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে। প্রায় ২০ মাস ধরে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার পর ফের মঙ্গলবার থেকে চালু হল স্কুল যাত্রা। পের শোনা গেল ক্লাস শেষ হওয়ার ঘণ্টা। আর ঢং ঢিং করে ছুটির ঘণ্টা পড়ার পালা। স্মার্টফোনের রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে স্কুলে ফের ফিরে এল চক ডাস্টার। ফের ছন্দ ফিরে এল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। আর তাতে সবচেয়ে বেশি খুশি হল প্রত্যন্ত এলাকার পড়ুয়ারা, যাদের হয় স্মার্ট ফোন কেনার সামর্থ্য ছিল না অথবা ইন্টারনেটের গতি সেখানে একেবারেই কচ্ছপের গতি। প্রথাগত পড়াশুনার পাঠ চুকিয়ে যে অনলাইন ক্লাস চালু হয়েছিল, তাতে ব্যবধান বাড়ছিল শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের সম্পর্কের। ফের তারা মিলিত হলে স্কুলে। এ যেন আর সমাবর্তনে সূচনা হল। স্যািনটাইজার ব্যবহার করে জীবাণূমুক্ত হয়ে অর মুখে মাস্ক পরে এদিন স্কুলের ক্লাসের প্রবেশের মধ্যে দিয়ে নতুন উন্মাদনা পেল ছাত্রছাত্রীরা।
তবে, করোনা বিধির কথা মাথায় রেখে সাামজিক দূরত্ব বজায় রেখে রাজ্যজুড়ে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলির পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলেও ক্লাসের সূচনা হল। বহুদিন পর ফের স্কুলে এসে যারপরনাই খুশি ছাত্রছাত্রীরা। খুশি শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। বহু স্কুলেই আজ অনন্য উপায়ে স্বাগত জানানো হল ছাত্রছাত্রীদের। কোথাও পড়ুয়াদের ফুল ছড়িয়ে স্কুলে স্বাগত জানালেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কোথাও আবার স্কুলে ঢোকার মুখে পড়ুয়াদের দেওয়া হল ফুলের তোড়া। সব মিলিয়ে এ এক দারুণ অনুভূতি পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। রাজ্য সরকারে নির্দেশ অনুয়ায়ী সকাল সাড়ে নটার মধ্যে রিপোরিটং করারর পর নবম ও একাদশের ক্লাস শুরু হল সকাল ১০টায়।
দশম ও দ্বাদশের ক্লাস শুরু সকাল ১১টায়। ক্লাস শুরুর আধঘণ্টা আগে স্কুলে এসে গিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। তাদেরও আগে স্কুলে হাজির হতে হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। পড়ুয়াদের লাইনে দাঁড় করিয়ে স্কুলে ঢোকানোর বন্দোবস্ত করেছিল কর্তৃপক্ষ। ক্লাসে ঢোকার আগে প্রথমেই ছাত্রছাত্রীদের জন্য ছিল হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। তারপর সেই হাত স্যানিটাইজ করার পালা। শারীরিক দূরত্ব মেনে একে একে পড়ুয়ারাও সেই কাজ করলেন। স্কুলে ঢোকার পর থেকে ছাত্রছাত্রীদের করোনা-বিধি সম্পর্কে সচেতন করেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। কোভিড-বিধি মেনে স্কুল চলবে তাই করোনা বিধি সম্পর্কে পড়ুয়াদের বোঝানো হয়। ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর ফের স্কুল যাত্রা শুরু হওয়ার পর শিশু ছাত্ররা তাকিযে আছে কবে তারা বইয়র বোঝা কাঁধে নিয়ে স্কুলের পথে যাবে। যদিও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়ে দিয়েছেন, ক্রমান্বয়ে শিশুদের স্কুলও শুরু করা হবে। তার অপেক্ষায় দিন গুনছেন অভিভাবকরা।
আরও পড়ুন: