আপনজন ডেস্ক: সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আনায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই তরুণী সাংবাদিক সমৃদ্ধি সাকুনিয়া ও স্বর্ণ ঝা-কে গ্রেফতার করেছিল ত্রিপুরা পুলিশ। কিন্তু গোমতী জেলা আদালতের নির্দেশে তারা জামিন পেয়ে গেলেন। গোমতীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত সোমবার সাকুনিয়া এবং স্বর্ণ ঝাকে ৭৫,০০০ টাকার বন্ডে জামিন দিলেও মঙ্গলবার কাকরাবান থানায় রিপোর্ট করতে হবে।
এর আগে তাদের বিরুদ্ধে ফটিকরায় ও কাকরাবান থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। তাতে বলা হয় দিল্লি ভিত্তিক ওই দুই মহিলা সাংবাদিক ১১ নভেম্বর ত্রিপুরায় পৌঁছেছিলেন এবং সেখানে সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকা পরিদর্শন করেছিল।
এ ব্যাপারে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সমর্থক কাঞ্চন দাস ফটিকরায় থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন অভিযোগ করেন, এই দুজন ফটিকরায় বিধানসভা বিভাগের অধীনে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের কিছু বাড়িতে গিয়েছিলেন ও অন্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কিছু উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন। এছাড়া, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মন্তব্য করেছিলেন।
ওই দুই সাংবাদিক এই মামলায় হাজিরার জন্য পুলিশের কাছে সময় চেয়েছিলেন এবং সেই অনুযায়ী ২১ নভেম্বর তাদের উপস্থিতির জন্য একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাকরাবান থানা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট সম্পর্কিত। শনিবার সকালে ত্রিপুরা ছেড়ে অসমের করিমগঞ্জে যাওযার পথে তাদেরকে আটক করে এবং ট্রানজিট রিমান্ডে ত্রিপুরায় নিয়ে আসে।
এক বিবৃতিতে ত্রিপুরা পুলিশ রবিবার জানিয়েছিল, সমৃদ্ধি সাকুনিয়ার পোস্ট করা ট্যুইটারে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়ানোর অবিযোগ রয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয় ‘হুরিজালার বাসিন্দা রহমত আলীর বাড়িতে দুষ্কৃতিদের দেওয়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত অর্ধদগ্ধ প্রার্থনা কক্ষে ওই সাংবাদিক তার সফরের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ১৯ নভেম্বর রাতের এই ঘটনায় একটি পবিত্র কুরআন পোড়ানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এটি তদন্ত রিপোর্টের বিপরীত। কারণ এই ধরনের কোনও ক্ষতিগ্রস্ত বই-নথির উপস্থিতি তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের নজরে আসেনি, যারা আগুন নিভিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: