রাজু আনসারী, অরঙ্গাবাদ: ভাঙনে বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জ। নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে ধুলিয়ান পৌরসভার ১৭ এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। সোমবার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের লালপুর এলাকায় ভাঙন দেখা যায়। কয়েকশো মিটার জমি ও বেশ কিছু বাড়িনদী গর্ভে মুহুর্তের মধ্যে তলিয়ে যায়।
এই ভাঙ্গন বিধ্বস্ত এলাকাগুলি সামশেরগঞ্জের বিধায়ক এবং অন্যান্য জন প্রতিনিধিরা পরিদর্শন করলেও দেখা মেলেনি স্থানীয় সাংসদের।
শামসেরগঞ্জের মানুষদের মধ্যে ক্ষোভ লক্ষ্য করা যাচ্ছিল এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে। সেই ভাঙ্গন বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। দুপুরে ভাঙন বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। কথা বলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে।
উল্লেখ্য বেশ কিছু দিন আগে দেখা দিয়েছিল চোখের সামনে গ্রাস করতে গঙ্গা কে তা দেখে অনেকেই বাড়ি ঘর ভেঙে নিয়ে যাচ্ছিল। যে যেটুকু বাঁচাতে পারে তা উদ্ধারে ব্যস্ত ছিল সকলেই।
ভাঙনের আশঙ্কার আতঙ্কে ঘর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন অনেকেই। যে এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে ঠিক তার পাশেই রয়েছে একটি প্রাচীন কররস্থান, বৈদ্যুতিক চুল্লি ও একটি ওয়াটার প্ল্যান্ট। ভাঙন রোধ করা না গেলে এগুলিও হয়তো গঙ্গা বক্ষে বিলীন হয়ে যাবে, আশঙ্কা স্থানীয়দের।
গঙ্গা ভাঙন পরিদর্শনে এসে দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন ভাঙন প্ৰতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সেচ দপ্তর, ফরাক্কা ব্যারেজ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি আরও বলেন বালির বস্তা ফেলে সমাধান করা সম্ভব নয় এর জন্য দরকার স্থায়ী সমাধান বারবার এই বিষয়টি আমি দিল্লিতে পেশ করেছি যার এর কনো স্থায়ী সমাধান হয়।
আমি কিছু দিনের মধ্যে দিল্লি যাবো সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে কথা বলবো বলেন তিনি নদী ভাঙ্গনের স্থায়ী সমাধানের জন্য যা যা করার দরকার সেরকমভাবে কেন্দ্র সরকার কে করতে হবে সেই দাবি তুলেন তিনি। এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি দাওয়া শুনলেন তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct